এক দশকে তিন গুণ হবে ড্রোন বাজার

এক দশকের মধ্যে অসামরিক ড্রোনের বাজারের মূল্য তিন গুণ বেড়ে ১৪৩০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়।এই বাজারে অধিপত্য ধরে রেখেছে ড্রোন নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2019, 12:59 PM
Updated : 18 July 2019, 12:59 PM

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হলেও এই বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি বছর অসামরিক ড্রোন বাজারের মূল্য বলা হচ্ছে ৪৯০ কোটি মার্কিন ডলার। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আরও বেশি অঞ্চলে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর ব্যবহার বাড়ায় এই খাতের মূল্য বাড়বে বলে উঠে এসেছে অ্যারোস্পেস বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান টিল গ্রুপের গবেষণায়-- খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ড্রোনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। তাদের ধারণা, চীনের বানানো ড্রোনের মাধ্যমে সংবেদনশীল ডেটা ও ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারে বেইজিং।

টিল গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল ফিনেগান বলেন, সংখ্যার দিক থেকে  বিশ্বের বাণিজ্যিক ও ভোক্তা ড্রোনগুলোর তিন চতুর্থাংশ আসে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।

চলতি বছরের মে মাসে চীনা ড্রোনগুলোতে ডেটা ঝুঁকির কথা জানিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

ড্রোন নিয়ে সমালোচনার কেন্দ্রে রয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান ডিজেআই। নিরাপত্তার বিষয়টিকে “মিথ্যা” ও “বিভ্রান্তিকর” দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ডিজেআইয়ের মুখপাত্র মিকায়েল ওল্ডেনবার্গ বলেন, নিজেদের ডেটার “পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ” থাকে গ্রাহকের কাছে।

অসামরিক ড্রোনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক যাচাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। নির্মাণ, শক্তি এবং খনন কাজের মতো বাণিজ্যগুলোতে এর ব্যবহার দেখা যায়।

ড্রোন ব্যবহারের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কৃষি খাত। ফসলে কীটনাশক দেওয়া এবং জমির অবস্থা যাচাইয়ের কাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।

২০১৭ সালে ডিজেআই ড্রোন ব্যবহার বাতিল করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা বিভাগকে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট নীতিমালায় চীনা ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সেনাবাহিনী।