খাবারে ক্যান্সার ঠেকানোর অণু খুঁজবে অ্যাপ

খাবারে ক্যান্সার নিরোধী অণু খুঁজে বের করছে ড্রিমল্যাব নামের মোবাইল অ্যাপ। মোবাইল 'কাজহীন' বা অলস অলস থাকা অবস্থায় যে প্রসেসিং পাওয়ার কাজে লাগে না তা ব্যবহার করে শনাক্ত করা হবে এই অণু।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2019, 06:22 PM
Updated : 10 July 2019, 06:22 PM

গবেষণায় দেখা গেছে গাঁজর, সেলেরি নামে এক থরনের শাক এবং কমলায় সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার নিরোধী অণু রয়েছে-- খবর বিবিসি’র।

ইতোমধ্যেই অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ৮৩ হাজার বার। গ্রাহকের ঘুমের সময় এটি কাজ করে এবং ইতোধ্যেই এক কোটির বেশি গণনা শেষ করেছে।

এ বিষয়ে এক গবেষক বলেন, এর চিকিৎসা বের করতে এখনও অনেক কাজ বাকি।

ইতোমধ্যেই অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ৮৩ হাজার বার। গ্রাহকের ঘুমের সময় এটি কাজ করে এবং ইতোধ্যেই এক কোটির বেশি গণনা শেষ করেছে।

অ্যালগরিদমের মাধ্যমে অ্যাপটি একটি বিস্তৃত ডেটাবেইজের সঙ্গে আট হাজারের বেশি দৈনন্দিন খাবারের উপাদান পরিমাপ করে। ল্যাব পরীক্ষার কোষ বা প্রাণীর দেহে যে অণুগুলো সফলভাবে ক্যান্সার প্রতিহত করতে পেরেছে ডেটাবেইসটিতে সে উপাদানগুলো রাখা হয়েছে।

আঙ্গুর, জিরা এবং বাধাকপিতে ক্যান্সার নিরোধী অণূর পরিমাণ অনেক বেশি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমান অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল ওষুধও ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

অ্যাপটি নিয়ে প্রকাশিত পেপারের মূল লেখক ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের সার্জারি ও ক্যান্সার বিভাগের ড. কিরিল ভেসেলভ বলেন, “এটা আমাদের জন্য যুগান্তকরী মূহুর্ত।”

“পরবর্তী পদক্ষেপ এআই প্রযুক্তি দিয়ে এটা বের করতে হবে যে, ব্যক্তি ভেদে ওষুধ এবং খাবারের অণুর সমন্বয় কেমন প্রভাব ফেলে।”

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র স্বাস্থ্য তথ্য কর্মকর্তা উইলিন উ বলেন, “এই গবেষণার মাধ্যমে আশা করা যাচ্ছে আমরা ক্যান্সারের নতুন চিকিৎসা খুঁজে পাব, আমাদের খাবার এবং পানীয়ের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের মাধ্যমেই।”

“এই পদক্ষেপ থেকে ফলাফল এলেও ক্যান্সার চিকিৎসায় তা ব্যবহার করতে এখনও অনেক দেরি। একটি নির্দিষ্ট ধরনের খাবার খাওয়ায় চেয়ে সার্বিক খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

“অনেক প্রমাণ আছে যে মাংস, বেশি ক্যালোরির খাবার এবং পানীয়ের চেয়ে ফল এবং শাক সবজির মতো ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।”

ড্রিমল্যাব নামের অ্যাপটি যৌথভাবে বানিয়েছে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং ভোডাফোন ফাউন্ডেশন। গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে নেচার সাময়িকীতে।