‘ধর্মঘট’ ডাকলেন উইকিপিডিয়া প্রতিষ্ঠাতা

গ্রাহকদেরকে ৪৮ ঘন্টার জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন উইকিপিডিয়া সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি স্যানজার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2019, 08:32 AM
Updated : 2 July 2019, 08:32 AM

স্যানজার বলেন ৪ থেকে ৫ তারিখ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রাখলে পরিবর্তনের “বিশাল চাহিদা” তৈরি হবে। তবে এতে কতোটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে-- খবর বিবিসি’র।

এই দুই দিন যারা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার বাদ রাখবেন তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটি দেখাবেন যে, সেবাগুলোর বিরুদ্ধে তাদের “গুরুতর অভিযোগ” রয়েছে।

দুই দিন ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়ে এক ব্লগ পোস্টে স্যানজার বলেন, “আমরা অনেক আওয়াজ তৈরি করতে যাচ্ছি।”

“আমরা আমাদের সম্মিলিত শক্তি ব্যবহার করবো এবং প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আমাদের ডেটা, গোপনীয়তা এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয় সে দাবি তুলব।”

এতে যতো বেশি মানুষ যোগ দেবেন ততোই প্রমাণ হবে যে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মানুষ কতোটা অসন্তুষ্ট।

স্যানজারের ধারণা, এই ধর্মঘটের কারণে বড় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে পরিবর্তন আসবে, যা গ্রাহককে তার ডেটার ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ দেবে।

“শুরু থেকেই সামাজিক মাধ্যমগুলো এভাবে বানানো উচিত ছিল, অন্যান্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে আলাদাভাবে তৈরি না করে,” বলেন স্যানজার।

উইকিপিডিয়া সহ-প্রতিষ্ঠাতার খসড়া ‘ডিক্লারেশন অফ ডিজিটাল ইন্ডিপেন্ডেন্স’ নথিতে স্বাক্ষরও করতে বলা হয়েছে।

এই নথিতে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে কেন্দ্রিভূত করে একটি ব্যবস্থার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে যাতে এক প্ল্যাটফর্মে দেওয়া বক্তব্য অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকেও দেখা যায়।

রেডিট, টুইটার এবং অন্যান্য আরও সামাজিক মাধ্যমে এই আহ্বানের বিষয়টি ছড়ানো হয়েছে। ফেইসবুকে স্যানজারের অ্যাকাউন্ট না থাকায় অন্যান্যদেরকে ফেইসবুকে এটি ছড়াতে বলা হয়েছে।

স্যানজারের এই ধর্মঘটের ডাক ইন্টারনেটে জনপ্রিয়তা পেলেও কিছু গ্রাহক এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এমন এক গ্রাহক বলেন, “আমি মনে করি যারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা সবাই যদি এতে অংশও নেয়, দৈনিক ভিজিটরের জন্য পার্থক্যটা হবে খুব সামান্য।”

“যারা বিষয়টি নিয়ে সত্যি উদ্বিগ্ন আমার মনে হয় তারা ইতোমধ্যেই কেন্দ্রিভূত সামাজিক মাধ্যম থেকে সরে এসেছেন বা এটির ব্যবহার এমন মাত্রায় কমিয়ে ফেলেছেন যাতে ধর্মঘট ছাড়াও তাদের ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে।”