বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দুইটি ফাইল চুরি করা হয়েছে। ফাইলগুলোতে গোপন সেনাবাহিনী এবং মহাকাশ প্রযুক্তির আন্তর্জাতিক স্থানান্তরের তথ্য ছিলো। এই ডিভাইস ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক হ্যাকিংয়ের বিষয়টি ১০ মাস শনাক্ত করা যায়নি।
রাসবেরি পাইয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে জেট প্রোপালশন ল্যাবের অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্কে প্রবেশ করেন ওই হ্যাকার। নেটওয়ার্কে অনেকক্ষণ ডিভাইসটি শনাক্ত না হওয়ায় ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডেটা চুরি করেন তিনি।
ক্রেডিড কার্ডের আকারের ক্ষুদ্র কম্পিউটার হলো রাসবেরি পাই, যার দাম মাত্র ৩৫ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পের জন্য এই কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে শিক্ষার্থীরা।
এখন পর্যন্ত হ্যাকারকে শনাক্ত করা বা আটক করা সম্ভব হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৩টি ফাইল থেকে ডেটা চুরি করেছেন ওই হ্যাকার। তবে চুরি যাওয়া তথ্যের ধরন নিয়ে কিছু বিষয় জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান পানাসের প্রধান নিক হুইটফিল্ড বলেন, “নাসা’র মতো বড় এবং জটিল সংস্থাগুলোর পক্ষে সব ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নিখুঁত হওয়াটা অনেক কঠিন।”
তথ্য চুরি যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর সংস্থাটির বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে জনসন স্পেস সেন্টারও রয়েছে।
নিরীক্ষণ প্রতিবেদনে নেটওয়ার্ক পর্যালোচনা এবং হ্যাকিংয়ের নীতিমালা আরও জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।