চলতি বছরের এপ্রিলে বৈদ্যুতিক গাড়িটি বাজারে আনে আউডি। এযাবত বিক্রি হওয়া প্রায় অর্ধেক গাড়ি ফেরত চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আউডির পক্ষ থেকে বলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৪০টি ই-ট্রোন গাড়ি ফেরত চাওয়া হয়েছে-- প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, আক্রান্ত গাড়িগুলোর ওয়্যারিং ব্যবস্থায় ত্রুটির কারণে আলাদা আলাদা ব্যাটারি সেলে আর্দ্রতা জমা হতে পারে এবং এর থেকে আগুন লাগার আশঙ্কা রয়েছে।
এখনপর্যন্ত আগুন লাগার বা হতাহতের কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে পাঁচটি গাড়িতে ‘ব্যাটারি ত্রুটির বাতি’ জ্বলতে দেখা গেছে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের অগাস্ট মাসের মধ্যেই গাড়িগুলো সারাবে আউডি। আর এসময়ের মধ্যে এই মডেলের নতুন গাড়ির বিক্রিও চালিয়ে যাওয়া হবে।
সাধারণত জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির চেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা খুব কম। তারপরও বর্তমানে রাস্তায় যেহেতু বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে তাই এটি নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে।
এর আগে টেসলা গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় বেশ সরগোল হয়েছে। এ ছাড়া এমন ঘটনা ঘটেছে জাগুয়ারসহ অন্যান্য নির্মাতার বৈদ্যুতিক গাড়িতেও।
ব্রেকিং সমস্যার কারণে আগের সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি আই-পেইস ফেরতে চেয়েছে জাগুয়ারও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া ৩০০০ আই-পেইস গাড়ি এতে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।