৩ডি প্রিন্টেড এই উল্লম্ব পডের নাম বলা হয়েছে ‘মারশা’। নতুন এই পডটি বানানো অনেক সহজ। এটি বানাতে মঙ্গল গ্রহের উঁচু নিচু ভূমিতে কোনো নির্মাতা রোভারও চালাতে হবে না। একটি স্থির রোভারের সঙ্গে ক্রেইনের মতো যুক্ত উল্লম্ব বাহু ব্যবহার করেই বানানো যাবে এটি-- খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।
মঙ্গল গ্রহের তীব্র তাপমাত্রা ও আবহাওয়ায় টিকে থাকতে দুইটি খোলস দিয়ে নকশা করা হয়েছে ‘মারশা’।
পডের প্রতি তালায় অন্তত একটি করে জানালা রাখা হয়েছে, যা বাসিন্দাদেরকে ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরামা দৃশ্য দেখাবে। একদম ওপরে রয়েছে পানি ভর্তি ‘স্কাইলাইট’।
নভোচারীদেরকে সুস্থ রাখতে পৃথিবীর মতো আলো আনতে ‘সিরকাডিয়ান’ লাইটিং ব্যবহার করা হয়েছে এতে।
নতুন এই পডের নকশা করেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক ‘এআই স্পেসফ্যাক্টরি’ নামের এক প্রতিষ্ঠান।
“মঙ্গল গ্রহে এই ভূমিকার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায় কারণ সেখানে কাঠামো হলো মেশিন, যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে।”
“মহাকাশ স্থাপত্যে প্রতিটি নকশার সিদ্ধান্তে অভিযানের সাফল্যে এর দারুন প্রভাব রয়েছে। অভিযানের চাহিদা অনুযায়ী কাঠামো হতে হবে।”
নাসা’র ৩ডি-প্রিন্টেড হ্যাবিটেট চ্যালেঞ্জের বিজয়ী দল হলো এআই স্পেসফ্যাক্টরি। শীর্ষস্থানের জন্য পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার পেয়েছে তারা।
নাসা’র চাপ, ধোঁয়া এবং ধাক্কা পরীক্ষার পর দেখা গেছে অন্যান্য কংক্রিটের চেয়ে এই পডের উপাদান বেশি মজবুত।
এর আগে ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে নাসা।