প্রথম প্রান্তিকে শীর্ষে অ্যাপল ওয়াচ

এক বছর আগের চেয়ে ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টওয়াচের বিক্রি বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। আর এতে স্মার্টওয়াচ বাজারের শীর্ষে ছিল অ্যাপল ওয়াচ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2019, 10:11 AM
Updated : 3 May 2019, 10:11 AM

এই প্রান্তিকে স্মার্টওয়াচ বাজারের ৭৫ শতাংশ ছিল শীর্ষ নয় ব্র্যান্ডের দখলে। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ‘গ্লোবাল স্মার্টওয়াচ ট্র্যাকারের’ তথ্যানুসারে স্যামসাং, ফিটবিট এবং হুয়াওয়ে’র বিক্রিও ক্রমবর্ধমানহারে বেড়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টওয়াচ বাজারের ৩৫.৮ শতাংশ ছিল অ্যাপলের দখলে। স্যামসাংয়ের দখলে ছিল ১১.১ শতাংশ। আর ৯.২ শতাংশ দখল নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠেছে নতুন চীনা ব্র্যান্ড ইমো।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের বিশ্লেষক সত্যজিৎ সিনহা বলেন, “আইফোনের চাহিদা কমলেও এক বছর অ্যাপল ওয়াচের বিক্রি বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।”

“ইসিজি ছিল অ্যাপল ওয়াচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার,” যোগ করেন সিনহা।

ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, হং কং এবং যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৯টি দেশের স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে অ্যাপল ওয়াচের ইসিজি ফিচার।

নিজেদের সর্বশেষ হুয়াওয়ে জিটি'র বদৌলতে ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ারমূল্য তিন শতাংশ বেড়েছে। হুয়াওয়ে বর্তমানে তাদের ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। অনার ব্র্যান্ডের অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসগুলোও ভালোই বিক্রি হচ্ছে।

কোরিয়ান ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে স্যামসাংয়ের বিক্রি বছর বছর ১২৭ শতাংশ বাড়ছে। ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাজারে এর শেয়ার বেড়েছে ১১ শতাংশ।

জেষ্ঠ্য বিশ্লেষক সুজং লিম-এর ভাষ্যমতে, সর্বশেষ গ্যালাক্সি ওয়াচ সিরিজের কারণে এই সাফল্য এসেছে। আর এই স্মার্টওয়াচটির মূল বিশেষত্ব হচ্ছে এর উন্নত ব্যাটারি আর খুবই প্রচলিত গোল ঘড়ির মতো নকশা।