পুননির্মিত হলো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কোডব্রেকিং মেশিন

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের একটি কোডব্রেকিং মেশিন পুনরায় বানিয়েছে এক দল গবেষক। সাত বছরের পুননির্মাণ প্রকল্প শেষে প্রথমবারের মতো এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2019, 11:41 AM
Updated : 7 April 2019, 11:41 AM

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ কম্পিউটিংয়ের মিল্টন কিনেস-এ ছয় সদস্যের একটি দল পুনরুদ্ধার করে হিথ রবিনসন নামের কোডব্রেকিং মেশিনটি।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোড ভাঙ্গার শুরুর দিকের প্রচেষ্টা ছিলো এই মেশিনটি। এর জটিলতার কারণে মেশিনটির ইলাস্ট্রেটর ডাব্লিউ হিথ রবিনসনের নামেই এটির নামকরণ করা হয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

এই প্রকল্পের মূল প্রকৌশলী ফিল হায়েস বলেন, ‘এটি এক দারুণ অর্জন’।

চল্লিশের দশকের প্রযুক্তির রেপ্লিকা সার্কিট এবং হাতে আঁকা সার্কিট ডায়াগ্রাম দিয়ে মেশিনটি পুননির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হায়েস।

“এটা দারুন অর্জন কারণ, আমাদের কাছে ছিলো শুধু কিছু ছবি এবং একটি হাতে আঁকা ডায়াগ্রাম। মেশিনটি কার্যকর বানানোটা ছিল একটি চ্যালেঞ্জ,” বলে হায়েস।

প্রকল্পটিতে পাঁচ জন সেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কাজ করেছেন হায়েস।

১৯৪৩ সালের জুন মাসে ব্লেচলি পার্কে কাজ শুরু করে হিথ রবিনসন। বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামএবল কম্পিউটার কোলোসাস-এর অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরা হয় মেশিনটিকে।

শনিবার যাদুঘরে রাখা মেশিনটি প্রদর্শনের জন্য উন্মোচন করবেন ডাব্লিউ হিথ রবিনসনের ভাতিজা পিটার হিগিনসন।

হিথ রবিনসনের কার্যকরিতা বাড়াতেই পরবর্তীতে কোলোসাস-এর নকশা করা হয়।

১৯৪৪ সালে কোলোসাস উন্মোচনের পরও হিটলার এবং জার্মান হাই কমান্ডের মধ্যে আদান প্রদান করা বার্তা ডিকোড করার কাজ করেছে হিথ রবিনসন।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেখানে দুইটি ‘সুপার রবিনসনস’ কার্যকর ছিল এবং আরও দুইটি বানানো হচ্ছিলো। পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত মেশিনটি কার্যকর ছিল।