পুরোপুরি বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য হাইব্রিড গাড়ি একটি সেতুর মতো, এই ধারণা প্রচার করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে টয়োটা-- খবর বিবিসি’র।
গাড়ি নির্মাতা জাপানি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মোটর, কনভার্টার এবং ব্যাটারিসম্পর্কিত প্রায় ২৪ হাজার পেটেন্ট করা প্রযুক্তির লাইসেন্স দেওয়া হবে।
বিশ্বের প্রথম বড় পরিসরে উৎপাদন করা হাইব্রিড গাড়ি বলা হয় টয়োটার তৈরি প্রিয়াস গাড়িকে। এযাবত এই মডেলের এক কোটি ৩০ লাখ গাড়ি বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
“আমাদের গাড়ির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিয়ে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনেক জিজ্ঞাসা থাকায় আমরা বুঝতে পেরেছি হাইব্রিড গাড়িকে জনপ্রিয় করা উচিত, আমরা বিশ্বাস করি এখন সহযোগিতা করার সময়,” বলেন টয়োটার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেকি তারাশি।
এই প্রযুক্তিগুলোতে বেশি উৎসাহী চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৫ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে শীর্ষস্থানে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
হাইব্রিড গাড়িগুলোতে সাধারণ ইঞ্জিনের পাশাপাশি একটি বৈদ্যুতিক মোটর থাকে। এতে জ্বালানি খরচ কমানোর সঙ্গে কার্বন নির্গমন কমে এবং চার্জিং ব্যবস্থার দরকার পড়ে না।
বড় পরিসরে হাইব্রিড গাড়ি প্রস্তুত শুরু করলেও, এই খাতে নজর দিতে গিয়ে পুরো বৈদ্যুতিক গাড়ি খাতে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে টয়োটা।
আশি’র দশকে পুরো বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কাজ শুরু করলেও এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো বৈদ্যুতিক গাড়ি বড় সংখ্যক গ্রাহকের বাজারে আনা হয়নি।