তথ্যপ্রযুক্তিতে তরুণ মেধা খুঁজতে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’

‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০১৯’ নিয়ে আবারও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণ প্রতিভা খুঁজবে হুয়াওয়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2019, 02:57 PM
Updated : 17 Feb 2019, 02:57 PM

রোববার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বছরের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) থেকে বলা হয়, এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারও ঘটাতে চাইছে তারা।

প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং জেংজুন বলেন, “এবার হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ও চুয়েট থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে শিক্ষার্থী বাছাই করবে।”

শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য হুয়াওয়ে টিম প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদের নির্বাচকদের সঙ্গে নিয়ে দুজন করে সেরা শিক্ষার্থী বাছাই করবে।

আগামী দুই মাস এই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  নির্বাচিত সেরা ১০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হবে চীনে। সেখানে হুয়াওয়ের সদর দপ্তর ছাড়াও চীনের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন তারা।

ঝাং জেংজুন বলেন, “হুয়াওয়ের গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রামের আওতায় আমরা এই কার্যক্রমটি অনেকটা সামাজিক দায়বোধ থেকেই আয়োজন করছি।

“বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি আমরা চাইছি, স্থানীয় তরুণের প্রতিভা বিকাশেও কিছু করতে।  এখানে প্রচুর তরুণ মেধা রয়েছে, যাদের কাজে লাগাতে পারলে দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি খাত আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এখন গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাই টেক সিটিতে জমি বরাদ্দ নিয়েছে। সেখানে কারখানা স্থাপন করে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার উৎপাদন করার কথা রয়েছে তাদের বলে জানিয়েছে হুয়াওয়ে।   

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ঘোষণা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মাত্র পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হুয়াওয়ের এই কার্যক্রম সীমিত না রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়েই মেধাবীরা পড়েন আর বাকিগুলোতে মেধাবীরা পড়েন না।

“বাংলাদেশ কেবল এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ নেই, মেধা এখন বিস্তৃত হয়েছে। মেধাবী তরুণদের খুঁজতে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এই প্রোগ্রাম পরিচালনা করা উচিৎ।”

ফাইভ-জি চালু হলে তরুণরা এর সুবিধা ভোগ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।  

২০২১ সালের আগে দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমরা ফাইভ-জি চালু করতেই সবচেয়ে জোর দিচ্ছি। যখন আমরা ফাইভ জি চালু করব, তখন আমরা ২০ জিবিপিএস ডেটা ব্যবহার করব। আর তার পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করে দেশের তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তিতে আরো বেশি অবদান রাখতে শুরু করবে।”

তরুণদের উদ্দেশে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের কথা যখন আমরা বলছি, তখন আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, রোবোটিকস, আইওটি, বিগ ডেটা, ব্লক চেইনের প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও বেশি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নতুবা আমরা ডিজিটাল রেভুলেশনের পরিবর্তনগুলো মিস করব।”

হুয়াওয়ে ২০০৮ সালে সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামের কার্যক্রম শুরু করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১০৮টি দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ৩৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে থেকে ৩৬০০ জন শিক্ষার্থীকে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টারে শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে এবার ষষ্ঠ বারের মত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।