চীনে ফিরলো মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন

চীনে বিভ্রাটের পর আবারও ফিরেছে মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন বিং। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল সেবাটি ব্লক করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2019, 10:34 AM
Updated : 27 Jan 2019, 10:34 AM

সার্চ ইঞ্জিন ফেরানোর কথা নিশ্চিত করা হলেও কেন সেবাটি বন্ধ ছিল তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি মাইক্রোসফট-- খবর বিবিসি’র।

ফেইসবুক, টুইটার, গুগলসহ অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সেবা ব্লক করতে একটি ফায়ারওয়াল চালায় চীন। অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সার্চ ইঞ্জিন অনেক আগেই ব্লক করা হলেও এযাবত ঠিকভাবেই চলছিল মাইক্রোসফট। হঠাৎ দেশটিতে বিং সার্চ বন্ধ হওয়ায় তাই ধারণা করা হয়েছিল এবার এই সেবাটিও ব্লক করেছে চীন।

বিং সার্চ ফেরার পর মাইক্রোফটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে চীনে বিং ব্যবহার করা যাচ্ছিলো না, কিন্তু এখন তা ফিরে এসেছে।”

চীনভিত্তিক সেন্সরশিপ পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান গ্রেটফায়ার জানায়, বিং সার্চ ইঞ্জিনে বিভ্রাট সরকার পক্ষ থেকে আসেনি।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, চীনের সার্ভারেই রাখা হয়েছে বিং চায়না। ফলে দেশটির স্থানীয় সেন্সরশিপ নীতিমালার আওতায়ই রয়েছে সার্চ ইঞ্জিনটি।

চীনে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বৈদেশিক প্ল্যাটফর্ম ও সমালোচনামূলক কনটেন্ট বন্ধ করা হয়। পশ্চিমে একে ডাকা হয় ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল অফ চায়না’। গ্রাহক যাতে ফায়ারওয়াল এড়াতে না পারেন সেজন্য ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কও বন্ধ করা হয়েছে দেশটিতে।

অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন বন্ধ হলেও এযাবত দেশটিতে বিংয়ের চীনা সাইট সিএন ডটবিং ডটকম বন্ধ করা হয়নি কারণ, চীনের দাবি মেনে সার্চের ফলাফল সীমিত করে রেখেছিল মাইক্রোসফট।

ইন্টারনেট সোসাইটি অফ চায়নার অংশ ছিল মাইক্রোসফট। এই সংস্থার কাজ হলো ‘ক্ষতিকর তথ্য দেওয়া ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে যুক্ত হওয়া এড়ানো’ বা ‘সামাজিক স্থিতিশীলতায় বাধা দেয় এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এমন কনটেন্ট’ ছড়ানো বন্ধ করা।

আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেইজিংয়ের কঠোর সেন্সরশিপ আইনে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় অনেকবারই এ নিয়ে সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কিন্তু কোটি কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক ও ক্রমবর্ধমান অনলাইন শপিং বাজার হওয়ায় শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য দেশটিকে এড়ানো অসম্ভব ছিল।

আগের বছর চীনের জন্য আলাদা একটি সেন্সরড সার্চ ইঞ্জিন আনার পরিকল্পনার কথা সামনে আসায় সমালোচনার মুখে পড়ে গুগল। ২০১০ সালেই দেশটিতে সার্চ ইঞ্জিন সেবা বন্ধ করে তারা।