সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছড়ানো ঠেকাতে ইন্টারনেট বন্ধ: পলক

নির্বাচন ঘিরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসী কার্যক্রম যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2018, 08:13 PM
Updated : 30 Dec 2018, 08:21 PM

রোববার ভোটের রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী সঞ্চালনায় ‘লাইভ’ এ এসে একথা বলেন তিনি।

নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ের পথে থাকা পলক বলেন, “এই মোবাইল ইন্টারনেট সব কিছুই জনগণের জন্য, জনগণের নিরাপত্তার জন্য। এক এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যেন আরেক এলাকায় ছড়িয়ে যেতে না পারে সেই জন্য এ সিদ্ধান্ত।

“আমি মনে করি, দেশের বৃহত্তর নিরাপত্তার স্বার্থে, শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই জন্য সামগ্রিকভাবে যদি কারো কোনো অসুবিধা হয়ে থাকে তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”

রোববার একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সামনে রেখে শনিবার দুপুর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর জি ও থ্রি জি সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে মধ্যরাতে টু জি সেবাও বন্ধ করে দিলে পুরোপুরি মোবাইল ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন গ্রাহকরা।

ভোট শেষে রোববার সন্ধ্যায় ইন্টারনেট চালু করা হলেও ঘণ্টা তিনেকের মাথায় তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেটে ফোর জি ও থ্রি জি সেবা বন্ধ রাখা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় খোলার পর শনিবার দুপুর পর্যন্ত তা চালু ছিল।

নিজের নির্বাচনী এলাকা নাটোরের সিংড়াকে তথ্য-প্রযুক্তির ‘মিনি সিঙ্গাপুর’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া পলক বলেন, “জনগণকে আমি বলব, আমাদের ক্ষমা করে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের পাশে থাকবেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন।”

জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, তিনি ইতোমধ্যে বেসরকারি ফলাফলে ২ লাখ ২২ হাজার ১৩১ ভোটে এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন আট হাজার ৭৫০ ভোট।

“প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতি আস্থা রেখে সিংড়ার জনগণ এসব ভোট দিয়েছেন,” বলেন তিনি।

প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভোট দেওয়া ভোটাররা পলকের বিরোধী কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না, আমি বলব যে, আমাদের সিংড়ার জনগণ শতভাগ ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

“আমরা মনে করি, সিংড়ার পাঁচ লক্ষ জনগোষ্ঠী এবং দুই লাখ ২৭৬ হাজার ১৭০ জন ভোটারই নৌকার পক্ষে, সুশাসনের পক্ষে, উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং সমর্থন জানিয়েছেন।”

নবম সংসদে সবচেয়ে কম বয়সী সাংসদ ছিলেন পলক। বিশাল ভোটের ব্যবধানে ফের সংসদ সদস্য হতে যাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “এর ফলে দায়-দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমাদের এখন আর কোনো পক্ষ-বিপক্ষ কিছুই থাকল না। ফলে এ এলাকার উন্নয়নকে আরও চলমান রাখতে এবং দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে, ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার হবে।”

 

পুরনো খবর