সিডনির ইউএনএসডাব্লিউ-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগের সিয়েন্সিয়া অধ্যাপক টোবি ওয়ালশ বলেন, বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, সৃজনশীলতা এবং আবেগি বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে ২০৬২ সালের মধ্যেই মানব বুদ্ধিমত্তার পর্যায়ে যাবে এআই।
ইতোমধ্যেই এই প্রযুক্তিতে বিশ্বজুড়ে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে বলে বিশ্বাস করেন ওয়ালশ-- খবর বিজনেস ইনসাইডার-এর।
সিডনিতে ফেস্টিভাল অফ ডেঞ্জারাস আইডিয়াস-এ ওয়ালশ বলেন, “এমনকি মেশিন ছাড়াও এগুলো অনেক স্মার্ট, এটি কোন দিকে যাচ্ছে এবং আমাদের কী ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে তা নিয়ে আমি কিছুটা ঘাবড়াতে শুরু করেছি।”
“কীভাবে মানুষের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা হচ্ছে তা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে এবং আমাদের উচিত এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া।”
“আমি আরেকটি দিক নিয়ে বিস্মিত, এটি মিডিয়ায় তেমন সাড়া ফেলেনি যে, মানুষ কীভাবে ভোট দেবে তা প্রভাবিত করতে এই তথ্যগুলো সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে,” যোগ করেন ওয়ালশ।
‘২০৬২: দ্য ওয়ার্ল্ড দ্যাট এআই মেইড’-এর লেখক ওয়ালশ আরও জানিয়েছেন, গ্রাহকের ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা আরও বাড়বে এবং এটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
“আমরা অনেকেই স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করি যা আমাদের রক্ত চাপ, হৃদস্পন্দনের মতো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো নজরদারি করে এবং আপনি যদি এই সেবার শর্তাবলী দেখে থাকেন তবে লক্ষ্য করবেন এই তথ্যগুলোর মালিক আপনি নন।”
ওয়ালশ মনে করেন, দ্বিতীয় মৌলিক পরিবর্তনটি হবে মেশিনের কার্যক্রমের নীতি ঠিক করা।
“পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় মেশিন যুদ্ধের ধরনেও আমূল পরিবর্তন আনবে” বলে জানিয়েছেন ওয়ালশ।