মাস্ক-এর টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাকড’!

হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে সন্দেহে সাময়িকভাবে ইলন মাস্কের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল মাইক্রোব্লগিং সাইটটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2018, 07:39 AM
Updated : 24 Oct 2018, 07:39 AM

২৩ অক্টোবর বেলা সোয়া ১১টার দিকে মাস্ক টুইট করেন, “টুইটার ভেবেছে আমি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছি আর আমার অ্যাকাউন্ট লক করে দিয়েছে। হাহা।”

অবশ্য ঠিক কী কারণে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল সে ব্যখ্যাটি মাস্ক  দেননি। কোনো ব্যখ্যা দেয়নি টুইটারও।

অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়ার সম্ভাব্য কারণটি ব্যখ্যা করেছে বিটকয়েনিস্ট ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইট। তাদের ভাষ্য- ইন্টারনেটে বড় তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টুইটারই এখন পর্যন্ত বিটকয়েন বা ভার্চুয়াল মুদ্রা বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অন্য দুই জায়ান্ট গুগল এবং ফেইসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিলেও পরে সেই কঠোরতা শিথিল করে।

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী অ্যালিস্টেয়ার মিলনে মনে করেন, টুইটে ‘বিটকয়েন’ শব্দটি থাকার কারণেই সম্ভবত খড়গ নেমেছিল মাস্কের অ্যাকাউন্টে। 

এই সামাজিক মাধ্যমটিতে শীর্ষ প্রোফাইল টুইটারদের মধ্যে মাস্ক অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে। টেসলা ছাড়াও একাধারে স্পেসএক্স, সোলারসিটি আর বোরিং কোম্পানির মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মাস্ক প্রায়ই নিজ প্রতিষ্ঠানগুলোর আপডেট দিতে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। তার টুইটে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আর ব্যক্তিগত মতামতের মিশ্রণ দেখা যায়।

টুইটার মাস্ক-এর অ্যাকাউন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এমনটা জানিয়ে টুইট করার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি জাপানি কমিক মানগা-এর একটি ছবি আপলোড করেন ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে কেউ বিটকয়েন কিনতে আগ্রহী কিনা তা জিজ্ঞাসা করেন।

চলতি বছর অগাস্টে টেসলাকে প্রাইভেট করতে চান জানিয়ে একটি টুইট করেন মাস্ক, এরপরই নতুন বিতর্কের শুরু হয়। টেসলাকে আর প্রাইভেট করেননি মাস্ক, সরে এসেছেন এই সিদ্ধান্ত থেকে। কিন্তু ঐ বিতর্কের জের ধরে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে জরিমানার মুখে পড়েছেন তিনি।