যে প্লেনগুলো জল ও স্থল উভয় স্থান থেকেই ওঠানামা করতে পারে সেগুলোকে অ্যাম্ফিবিয়াস প্লেন বা উভচর প্লেন বলা হয়।
নতুন এই প্লেনটির সাংকেতিক নাম বলা হয়েছে কুনলং। এজি৬০০ মডেলের প্লেনটি তৈরি করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্লেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়না (এভিআইসি)-- খবর আইএনএস-এর।
চীনের হুবেই অঞ্চলের জিংমেন-এর ঝ্যাংহে রিজারভয়্যার থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে পানি থেকে আকাশে ওড়ে প্লেনটি। ১৫ মিনিট আকাশে ওড়ার পর আবার সফলভাবে পানিতে নামতে পেরেছে এটি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্লেনটি চালিয়েছেন চারজন ক্রু।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে ওড়ানো হয় কুনলং।
চীনের তৈরি সবচেয়ে বড় প্লেনগুলোর মধ্যে তৃতীয় এজি৬০০। উভচর প্লেনটির চেয়ে বড় ফ্রেইটার ওয়াই-২০ এবং সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী প্লেন সি৯১৯ রয়েছে চীনের।
নতুন প্লেনটির সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং বলেন, “এজি৬০০-এর সফল উড্ডয়ন স্বাধীন উদ্ভাবনের দিক থেকে চীনের এভিয়েশন শিল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।”
এই প্লেনে চীনে তৈরি চারটি টারবোপপ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। প্লেনের দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে ৩৯.৬ মিটার। আর এর পাখার দৈর্ঘ্য ৩৮.৮ মিটার, জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এভিআইসি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায় সর্বোচ্চ ৫৩.৫ টন ওজন নিয়ে উড়তে পারবে কুনলং। আর এটির সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৫০০ কিলোমিটার। একটানা ১২ ঘন্টা উড়তে পারবে এটি।