‘গুপ্ত’ চিপ: প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে মার্কিন কর্তৃপক্ষ

শেষ পর্যন্ত অ্যাপল আর অ্যামাজনের সঙ্গেই সুর মেলালো মার্কিন সরকারি নিরাপত্তা সংস্থা। চীনা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রোপন করা ক্ষতিকর কম্পিউটার চিপের মাধ্যম অনুপ্রবেশ ঘটেছে অ্যামাজন ও অ্যাপলসহ বিভিন্ন মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সাপ্লাই চেইনে- এমন বোমাফাটানো খবর সম্প্রতি প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। ওই খবর প্রত্যাখান করে আলাদা বিবৃতি দেয় প্রযুক্তি জায়ান্ট দুটি। তাদের এই বিবৃতি নিয়ে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই বলে সাফাই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2018, 07:30 AM
Updated : 8 Oct 2018, 07:30 AM

শনিবার ডিএইচএস-এর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সাপ্লাই চেইন প্রযুক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া নিয়ে করা সংবাদ প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে অবগত।”

“প্রতিষ্ঠানগুলোর বিবৃতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের মতো আমরাও সন্দেহ করার কোনো কারণ পাইনি।”

নাম প্রকাশ না করা ১৭ সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার ব্লুমবার্গ বিজনেসউইক জানায়, চীনা গুপ্তচররা প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান ও একাধিক মার্কিন সরকারি সংস্থার ব্যবহৃত যন্ত্রে কম্পিউটার চিপ স্থাপন করে রেখেছে। এই সূত্রগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এর মাধ্যমে বেইজিং ওইসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে গোপন প্রবেশাধিকার পেতে পারে। 

শুক্রবার ব্রিটেনের সরকারি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, অ্যাপল আর অ্যামাজনের বিবৃতিতে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আপত্তি জানিয়ে বৃহস্পতিবার অ্যাপল জানায়, তাদের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এই প্রতিবেদনের সত্যতা মেলেনি।

সম্প্রতি অবসরে যাওয়া অ্যাপলের প্রধান আইনজীবী ব্রুস সোয়েইল রয়টার্স-কে বলেন, ২০১৭ সালে ব্লুমবার্গ হার্ডওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সুপার মাইক্রো কম্পিউটার-এর পণ্যে ক্ষতিকর চীনা চিপ স্থাপন করা আছে বলে জানায়। এরপর তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তৎকালীন জেনারেল কাউন্সেল জেমস বেকার-কে ফোন করেন।

বেকার বলেন, “আমি তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ফোনে কথা বলি, তাকে আমি বলি, ‘আপনি কী এ বিষয়ে কিছু জানেন?’ তিনি বলেন, ‘আমি কখনও এমন কিছু শুনিনি, কিন্তু আমাকে নিশ্চিত হতে ২৪ ঘণ্টা সময় দিন।’ তিনি আমাকে ২৪ ঘণ্টা পর কল করেন ও বলেন, ‘এখানে কেউই জানে না এই প্রতিবেদন কী নিয়ে বলছে।’”

শুক্রবার এ নিয়ে বেকার এবং এফবিআই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ করা হয় রয়টার্সের প্রতিবেদনে।