ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জরিমানার মুখে পড়তে পারে ফেইসবুক

পাঁচ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিতে পড়ায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ১৬৩ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করতে পারে ফেইসবুককে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2018, 09:07 AM
Updated : 1 Oct 2018, 09:07 AM

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয় হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা বিষয়ে তারা আরও তথ্য জানতে চেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউরোপে ফেইসবুকের শীর্ষ নীতি নির্ধারক হলো আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশন। কমিশনের ধারণা, এ ঘটনায় গোপনীয়তা বিষয়ে ইইউয়ের নতুন ‘জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন’ আইনের লঙ্ঘন ঘটে থাকতে পারে।

চলতি বছরের মে মাসে কঠোর এই গোপনীয়তা আইন চালু করা হয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই আইনটি করা হয়।

কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের তথ্য রক্ষা করতে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই আইনের আওতায় তাদেরকে সর্বোচ্চ ২.৩ কোটি মার্কিন ডলার বা ওই বছরে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়ের চার শতাংশ জরিমানার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে যে অঙ্কটা বড় হবে সে মোতাবেক জরিমানা আদায় করা হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেইসবুকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জরিমানা হতে পারে ১৬৩ কোটি মার্কিন ডলার। এখানে খতিয়ে দেখার বিষয় হ্যাকিংয়ের আগে তথ্য সুরক্ষায় ফেইসবুকের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা।

নতুন আইনে সম্ভাব্য হ্যাকিংয়ের বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে নীতি নির্ধারকদের জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জরিমানা হবে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়ের দুই শতাংশ। আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশন জানায়, ফেইসবুক এই সময়ের মধ্যেই বিষয়টি জানিয়েছে। তবে, “বিস্তারিত তথ্যে ঘাটতি ছিল”।

শুধু হ্যাকিংয়ের শিকার হলেই তা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার করার জন্য যথেষ্ট কারণ নয়। এক্ষেত্রে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠান যদি তদন্ত কাজে পুরো সহায়তা করে তবে ইইউ সাধারণত সর্বোচ্চ জরিমানা করে না।

শুক্রবার ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় হ্যাকিংয়ের ঘটনায় প্রায় পাঁচ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়েছে। হ্যাকাররা টিন্ডার, স্পটিফাই, এয়ারবিএনবি এবং ইনস্টাগ্রামের মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলো থেকেও গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের নাগাল পেয়েছে বলে জানানো হয়।

এই ঘটনার পেছনে ঠিক কার হাত রয়েছে সে বিষয়টি এখনও অস্পষ্টই থেকে যাচ্ছে। আর কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করা হয়েছে কিনা তাও জানানো হয়নি।