পীড়াদায়ক বা বাজে অনুভূতি তৈরি করে এমন ছবি হঠাৎ দেখে ব্যবহারকারীদের যাতে মানসিক আঘাতে পড়তে না হয় সেজন্য নানা পদক্ষেপ নেয় ফেইসবুক। কোনো ব্যবহারকারীর কাছে কোনো ছবি এমন অস্বস্তি সৃষ্টিকারী মনে হলে তিনি তা নিয়ে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে পারেন। এই ছবিগুলো শেষ পর্যন্ত কর্মরত মডারেটররা দেখে যাচাই করেন। কিন্তু এই যাচাইকারীরা ছবিগুলো দেখে মনে আঘাত পাচ্ছেন কি-না সে দিকটি কে দেখবে?
Published : 25 Sep 2018, 04:23 PM
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির এই মডারেটররা এসব পীড়াদায়ক ছবি দেখার পর যে মানসিক আঘাত পান তা নিয়ে সুরক্ষায় নেই যথাযথ ব্যবস্থা- এমন অভিযোগ করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি মামলা ঠুকে দিয়েছেন ফেইসবুকের সাবেক এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী।
মামলায় বলা হয়, ফেইসবুকে চুক্তিভিত্তিক মডারেটররা “খুন, আত্মহত্যা, শিরশ্ছেদ, পাশবিকতা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও শিশু নিপীড়ন নিয়ে হাজার হাজার ভিডিও, ছবি আর সরাসরি সম্প্রচার দেখে থাকেন।” এগুলো দেখে তাদের পাওয়া মানসিক আঘাতকে “বোমার আঘাতের” সঙ্গে তুলনা করা হয় এতে।
ফেইসবুকের সাবেক ওই কর্মী সেলেনা স্কোলা’র আইনজীবী কোরে নেলসন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, “ফেইসবুক একটি নিরাপদ কর্মক্ষেত্র দেওয়ার দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে আর কাজের ক্ষেত্রে এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা যা দেখছেন তার মাধ্যমে তারা যে অপূরণীয় আঘাত পাচ্ছেন সেটি থেকে বের হয়ে আসার কোনো পথ রাখেনি।”
এর আগে ফেইসবুক বলেছিল তার সব কনটেন্ট যাচাইকারীর মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে কার্যালয়ে প্রশিক্ষিত পেশাদারদের দিয়ে ব্যক্তি ও দলভেদে কাউন্সেলিং দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এই কর্মীরা পুরো স্বাস্থ্য সেবা পায় বলেও দাবি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
ফেইসবুকের কর্পোরেট যোগাযোগ পরিচালক বারটি টমসন বলেন, “আমরা কনটেন্ট মডারেটরদের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেই… ফেইসবুক কনটেন্ট যাচাইকারী প্রত্যেকে যাতে মানসিক সমর্থন ও সুস্থ থাকার ব্যবস্থা পান তা নিশ্চিত করি।”
পূর্ণকালীন ও চুক্তিভিত্তিক মিলিয়ে ফেইসবুকে বর্তমানে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি কনটেন্ট যাচাইকারী কাজ করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।