মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জিমেইল তাদের মেইল প্ল্যাটফর্মে থার্ড-পার্টি নির্মাতাদেরকে সেবা সমন্বয়ের সুযোগ দেয়। মার্কিন সিনেটরদের কাছে এ নিয়ে গুগলের পাঠানো একটি চিঠিও উদ্ধৃত করা হয় প্রতিবেদনে। ওই চিঠিতে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “থার্ড-পার্টি অ্যাপগুলোর মাধ্যমে নির্মাতারা কীভাবে ডেটা ব্যবহার করছে তা ব্যবহারকারীদেরকে জানানোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছ থাকা পর্যন্ত তারা ডেটা শেয়ার করতে পারে।”
চিঠিতে গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্মেন্ট অ্যাফেয়ার্স সুসান মলিনারি বলেন, গুগল “ব্যবহারকারীরা অনুমতি দেবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যাচাই করতে প্রাইভেসি নীতিমালা তাদের জন্য সহজেই পাওয়ার ব্যবস্থাও বানিয়ে দিয়েছে।”
চলতি বছর জুলাইয়ে জিমেইল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো বা গ্রহণ করা মেইলগুলো মাঝেমধ্যে থার্ড-পার্টি অ্যাপ নির্মাতারা পড়তে পারছেন বলে নিশ্চিত করে গুগল। এক্ষেত্রে শুধু মেশিনই নয়, মানুষও এই সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে গুগল এক ব্লগ পোস্টে জানায়, তারা জিমেইলে কোনো ডেভেলপারের অ্যাপ সমন্বয় ও জিমেইল থেকে ডেটা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার আগে তাদের যাচাই করা অব্যাহত রাখে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, তারা সব ধরনের ভোক্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রাখে ও তাদের ডেটা কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে পুরো নিয়ন্ত্রণ দেয়।
গুগল ক্লাউড-এর নিরাপত্তা, আস্থা ও প্রাইভেসিবিষয়ক পরিচালক সুজেইন ফ্রে বলেন, “আমরা জিমেইলের সঙ্গে অন্যান্য নির্মাতার অ্যাপ্লিকেশন সমন্বয়ও সম্ভব করেছি-- ইমেইল গ্রাহকদের মতো, ভ্রমণ পরিকল্পনা ও গ্রাহক ব্যবস্থাপনা সিস্টেমগুলোর (সিআরএম) মতো-- যাতে আপনারা কীভাবে জিমেইলে প্রবেশ ও তা ব্যবহার করবেন তা নিয়ে আপনাদের হাতে অপশন থাকে।”
গুগল অধীনস্থ নয় এমন কোনো অ্যাপ ব্যবহারকারীর জিমেইল মেসেজ দেখার সুযোগ পাওয়ার আগে ওই অ্যাপকে একাধিক ধাপের যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে জিমেইলের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটিরও বেশি, সংখ্যাটা এর পেছনে থাকা সবচেয়ে বড় ইমেইল ২৫টি ইমেইল সেবাদাতার মোট ব্যবহারকারী সংখ্যার চেয়েও বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
আরও খবর-