চলতি বছর জুলাইয়ে থাইল্যান্ডের একটি গুহায় কিশোরদের একটি ফুটবল দলের ১২ সদস্য আটকা পড়ে। তাদেরকে উদ্ধারে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে আনসওয়ার্থ অন্যতম। এই উদ্ধার অভিযানের জন্য একটি যন্ত্র বানিয়েছিলেন মাস্ক, এটি নিয়ে নিজেই ঘটনাস্থলে হ হন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাস্ক-এর ওই ডিভাইস আর কাজে লাগেনি। উদ্ধার অভিযান এসে মাস্ক-এর এই ডিভাইস তৈরি আর সেখানে এটি নিয়ে যাওয়াকে ‘গণসংযোগ কৌশল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন আনসওয়ার্থ। এরপর থেকেই নানা সময় ওই ডুবুরি ‘পেডোফাইল’ ও ‘শিশু ধর্ষক’ বলে দাবি করেছেন মাস্ক, যদিও নিজের এমন দাবিগুলোর পেছনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।
মাস্ক-এর বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭৫ হাজার ডলার দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মাস্ক যাতে এ ধরনের কথা বলা বন্ধ করেন সেজন্য আদেশ জারির আর্জিও জানানো হয়েছে এই মামলায়, খবর বিবিসি’র।
মামলার নথিতে বলা হয়, মাস্ক-কে “তার অন্যায়ের জন্য শাস্তি দিতে ও এ ধরনের জঘন্য কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে” আনসওয়ার্থ ক্ষতিপূরণের সঙ্গে ‘শাস্তিমূলক খেসারত’-ও চাচ্ছেন। মাস্ক মাঝেমধ্যেই তার টুইটার অ্যাকাউন্ট ও ইমেইল ব্যবহার করে ব্রিটিশ ডুবরির বিরুদ্ধে “মিথ্যা ও মানহানিকর অভিযোগ বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেন”, এমনটাই বলা হয়েছে নথিতে। ওই টুইটের সময় মাস্কের অ্যাকাউন্টে ২.২৫ কোটিরও বেশি ফলোয়ারও ছিল বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় আনসওয়ার্থ এই মামলা করেছেন। আরেকটি আলাদা মামলা যুক্তরাজ্যের লন্ডনে করা হবে।