গো-জ্যাকের লক্ষ্য দুইশ’ কোটি ডলার

বর্তমান বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আরও দুইশ’ কোটি ডলার সংগ্রহ করতে চাচ্ছে ইন্দোনেশীয় রাইড হেইলিং প্রতিষ্ঠান গো-জ্যাক। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নিজেদের ব্যবসায়ের পরিসর বিস্তৃত করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, সোমবার এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র এ খবর জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2018, 05:36 PM
Updated : 17 Sept 2018, 05:36 PM

গো-জ্যাক এর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুরভিত্তিক গ্র্যাব নিজেদেরকে একটি ভোক্তা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে তহবিল সংগ্রহ করছে ও ইন্দোনেশিয়ায় আগ্রাসীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এরপরই গো-জ্যাক এর এই তহবিল সংগ্রহের পদক্ষেপ এলো।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারে লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ আর শত শত কোটি ডলার সংগ্রহ করছে গো-জ্যাক ও গ্র্যাব।  

২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় যাত্রা শুর করা গো-জ্যাক স্থানীয় ‘মোটরবাইক ট্যাক্সি’ সেবায় বড় ভূমিকা রেখেছে। একটি রাইড-হেইলিং সেবাকে তারা এমন একটি অ্যাপভিত্তিক সেবায় নিয়ে এসেছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খাবার ও অন্যান্য পণ্য অর্ডার আর লেনদেন করতে পারেন।

রাইড হেইলিং সেবাদাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান উবার তাদের দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ব্যবসায়ের কার্যক্রম গ্র্যাবের কাছে বিক্রির পর চলতি বছর মে মাসে গো-জ্যাক জানায়, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড আর ফিলিপিন্সে প্রবেশ করতে তারা ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। 

টেনসেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেড ও জেডি ডটকমসহ  বর্তমান বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নতুন অর্থ সংগ্রহ চলতি বছরের শেষে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স-এর ওই সূত্র। তবে এ নিয়ে গো-জ্যাক আর জেডি ডটকম কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছে। আর টেনসেন্ট এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি। 

২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে রাইড হেইলিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠাও-এ গো-জ্যাক ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে বলে খবর বের হয়। সে সময় বিপণন ব্যবস্থাপক সৈয়দা নাবিলা মাহবুব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-কে বলেন, “এই তথ্য নিয়ে গোপনীয়তা ও স্পর্শকাতরতা থাকার কারণে, এই মূহুর্তে আমাদের এ নিয়ে কিছু বলার সুযোগ নেই।”