নতুন এই ডিভাইসটির নকশাসহ প্রায় সব প্রযুক্তিই আইফোন Xএস-এর মতো। এখানে সবচেয়ে বড় পার্থক্য ডিভাইসের পর্দায়। অন্য দু’টি ডিভাইসে যেখানে ওলেড পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে আইফোন Xআর-এর পর্দা এলসিডি।
অ্যাপলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিভাইসটিতে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির.৬.১ ইঞ্চি এলসিডি পর্দা ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন এই পর্দার নাম বলা হয়েছে ‘লিকুইড রেটিনা’।
ডিভাইসটি উন্মোচনের সময় অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিল শিলার দাবি করেন, “নতুন এই পর্দাটি সবচেয়ে উন্নত এলসিডি পর্দা।”
শিলার আরও বলেন, “নতুন অ্যারোস্পেস-গ্রেড অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে আইফোন Xআর-এ, যা আইপি৬৭ মানের পানি ও ধুলা নিরোধী। সারাদিনের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি রয়েছে এতে।”
ছয়টি রঙে উন্মোচন করা হয়েছে আইফোন Xআর, সাদা, কালো, নীল, হলুদ, কোরাল এবং লাল (প্রোডাক্ট রেড)। নতুন এ১২ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করায় ডিভাইসটির ব্যাটারি আইফোন ৮ প্লাসের চেয়ে দেড় ঘন্টা বেশি স্থায়ী হবে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যান্য আইফোন X-এর মতো পেছনে ডুয়াল ক্যামেরা রাখা হয়নি আইফোন Xআর-এ। এর বদলে নতুন একটি এফ/১.৮ অ্যাপারচার ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে ডিভাইসটিতে। বড় এবং গভীর পিক্সেলের কারণে ভালো মানের ছবি পাওয়া যাবে এতে। আর কম আলোতেও ভালো ছবি ও ভিডিও ধারণ করবে ডিভাইসটি। উন্নত আইএসপি, নিউরাল ইঞ্জিন ও উন্নত সফটওয়্যার অ্যালগদিমের কারণে ছবিতে দারুণ বোকেহ ইফেক্ট দেবে এটি।
আইফোন Xএস ও Xএস ম্যাক্সের মতোই আইওএস ১২ রয়েছে আইফোন Xআর-এ। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম দাবি করেছে অ্যাপল। এর মাধ্যমে অগমেন্টেড রিয়ালিটি, অ্যানোমোজি ও মেমোজি’র মতো ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ডিভাইসটি প্রি-অর্ডার করতে পারবেন গ্রাহক। ১৯ অক্টোবর নির্দিষ্ট কিছু বাজারে আনার পর ২৬ অক্টোবর ৫০টির বেশি দেশে আনা হবে আইফোন X-আর।
আরও খবর-