যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, সামাজিক মাধ্যমগুলো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে “খুবই ধীরগতিতে” কাজ করছে।
মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার-এর প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি বলেন তার প্ল্যাটফর্ম এই বিতর্কের “অস্ত্র হিসেবে কার্যকরী” হতে “অপ্রস্তুত আর সুসজ্জিত নয়”।
সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটি’র এই শুনানিতে হাজির হয়নি মার্কিন ওয়েব জায়ান্ট গুগল।
শুনানির শুরুতে ডেমোক্রেটিক সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেন, গুগল “তাদের প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নেতৃত্বের কাউকে না পাঠানোর সিদ্ধান্তে” তিনি “গভীরভাবে হতাশ” হয়েছেন।
ভবিষ্যতে নির্বাচনগুলোতে হস্তক্ষেপ করা প্রতিরোধ করতে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো কী করছে তা জানার দিকে এই শুনানিতে জোর দেয় সিনেট কমিটি। রাশিয়া আর অন্যান্য বিদেশি প্রচারণা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভুল তথ্য আর প্রজ্ঞাপন ছড়িয়েছে, এমন অভিযোগের সূত্র ধরেই এই শুনানি হলো, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।”
ওয়ার্নার বলেন, “সংঘটনের পর বুঝতে পারার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত যে ফেইসবুক আর টুইটার উভয়ের মাধ্যমেই সাংঘাতিক ভুল হয়েছে।”
“এমনকি নির্বাচনের পরও, আপনারা এখানে যে সমস্যা আছে তা স্বীকার করতে অনিচ্ছুক ছিলেন”- দুই সোশাল জায়ান্টের উদ্দেশ্যে বলেন ওয়ার্নার। সামাজিক মাধ্যমগুলো নতুন নীতিমালার মুখোমুখি হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।