এক তদন্তে দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস আর আইফোনে ব্যবহারকারীরা অবস্থানসংক্রান্ত ডেটা শেয়ারিং বন্ধ রাখলেও গুগলের অনেক সেবা ব্যবহারকারীদের এই ডেটা নেয় - সোমবার এমন খবর বেরিয়েছে।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি-এর গবেষকরা তদন্তের এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন বলে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিনোপসিস-এর টেকনিক্যাল এভানজেলিস্ট টিম ম্যাকে’র মতে, টেক জায়ান্টগুলো ব্যবহারকারীদের ভালো অভিজ্ঞতা দিতে চায়। আর এরই অংশ হিসেবে তারা মাঝেমধ্যে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন ডেটা যে সংগ্রহ করে থাকে তা খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়।
আইএএনএস-কে ম্যাকে বলেন, “অধিকাংশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মূলত একটি কথা রয়েছে-- ‘শুধু আপনি করতে পারেন মানেই এই নয় যে তা করা উচিৎ’। বাস্তব উদ্দেশ্যের জন্য এই ব্যক্তিগত ডেটা সরবরাহ হচ্ছে- আমরা সেবাদাতাদের কাছ থেকে ‘বিনামূল্যে’ যে সেবা নেই তার বিনিময়ে দেওয়া ভার্চুয়াল ফি।” তিনি আরও বলেন, “ইইউতে জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) কার্যকর হওয়া আর ক্যালিফোর্নিয়া কনজিউমার প্রাইভেসি অ্যাক্ট (সিসিপিএ)-এর মতো নীতিমালা কার্যকর হতে যাচ্ছে, এই অবস্থায় ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিৎ ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার আবারও যাচাই করা।”
এক বিবৃতিতে গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, লোকেশন হিস্ট্রি একটি গুগল পণ্য যা পুরোপুরি ব্যবহারকারীর পছন্দের উপর নির্ভর করে, ব্যবহারকারীর হাতে এটি বদলানো, মুছে ফেলা বা যে কোনো সময় বন্ধ রাখার সুযোগ রয়েছে।
ওয়েব জায়ান্টটি বলে, “প্রতিবেদনে যেহেতু বলা হয়েছে, আমরা লোকেশন হিস্ট্রি ব্যবহারকারীদের নিশ্চিত করছি যে তারা যখন এই সেবা বন্ধ করে দেয়, আমরা তখনও তাদের গুগল সার্চ বা ড্রাইভিং নির্দেশনার মতো ব্যবহারে গুগল অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এই ডেটা ব্যবহার অব্যাহত রাখি।”
কিন্তু শুধু লোকেশন হিস্ট্রি বন্ধ রেখেই ব্যবহারকারীরা লোকেশন ডেটা শেয়ার বন্ধ রাখতে পারবেন না। এজন্য গুগল সেটিংসে গিয়ে ‘ওয়েব অ্যান্ড অ্যাপ অ্যাকটিভিটি’ স্থগিত করে এটি করা যাবে।