অন্ধত্বের কারণ হতে পারে নীল আলো

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ- এ ধরনের যে কোনো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে আসা নীল আলো ব্যবহারকারীদের চোখের ক্ষতি করতে পারে। আর এর ফলে বয়সজনিত ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন সৃষ্টি হতে পারে, নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2018, 10:32 AM
Updated : 13 August 2018, 10:32 AM

ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন হচ্ছে চোখের প্রতিকার অযোগ্য একটি রোগ। এর ফলে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়স থেকে রোগীর দৃষ্টিশক্তি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেতে থাকে। এই রোগের ফলে রেটিনার ফটোরিসেপ্টর কোষগুলো মারা যায়, আলো শনাক্তের পর তার সংকেত মস্তিষ্কে পাঠাতে এই রেটিনাল কাজে লাগে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক গবেষকের করা এই গবেষণায় দেখা যায়, নীল আলো রেটিনায় এমন ক্রিয়া করে যার ফলে ফটোরিসেপ্টর কোষগুলোতে বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো’র ইউনিভার্সিটি অফ টুলিডো’র সহকারী অধ্যাপক অাজিত কারুনারাথনে বলেন, “আমরা অব্যাহতভাবে নীল আলো দেখে যাচ্ছি, আর চোখের কর্নিয়া ও লেন্স এটি থামাতে বা প্রতিফলিত করতেও পারে না।”

“নীল আলো যে চোখের রেটিনা নষ্ট করার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করছে তা গোপন কিছু নয়।”

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী কাসুন রাতনায়েক বলেন, “ফটোরিসেপ্টর চোখে নতুন করে তৈরি হয় না। এগুলো যখন মারা যায়, ওই শূন্যতা আর পূরণ হয় না।”

কারুনারাথনে বলেন, “নীল আলোর মাধ্যমে রেটিনাল বিষাক্ততা সর্বজনীন। এটি যে কোনো ধরনের কোষ মেরে ফেলতে পারে।”

সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামের এক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীরের ক্যান্সার কোষ, হৃৎপিণ্ডের কোষ আর নিউরনসহ বিভিন্ন কোষে নীল আলো দেওয়ার পর গবেষকরা দেখেন যে এগুলোও রেটিনাল বিষাক্ততার সঙ্গে মেলার ফলে মারা যায়। রেটিনাল ছাড়া শুধু নীল আলো বা নীল আলো ছাড়া রেটিনাল কোনো কোষে কোনো প্রভাব ফেলে না।

এ থেকে চোখ বাঁচাতে অতিবেগুনি রশ্মি ও নীল আলো ঠেকায় এমন চশমা পরতে ও অন্ধকারে সেলফোন বা ট্যাবলেটের দিকের না তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন এই গবেষক।