দেশটিতে আইফোন বিক্রি নিয়ে বরাবরই ধুঁকতে হয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটিকে। ভারতে আইফোন উৎপাদন শুরু করার পর স্থানীয়ভাবে আইফোনের দাম কমায় বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা ছিল অ্যাপলের।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে ব্যবসায়িক কাঠামো নতুন করে সাজানোয় অ্যাপলের বিক্রয় বিভাগের তিনজন নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন। ভারতে স্মার্টফোন বাজারের মাত্র দুই শতাংশ রয়েছে অ্যাপলের দখলে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে ভারতে ৩২ লাখ আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল। কিন্তু দেশটিতে আইফোন বিক্রির হার আরও কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই প্রতিবেদনের ধারণা অনুযায়ী বছরের প্রথমার্ধে দেশটিতে ১০ লাখের কিছু কম আইফোন বিক্রি হয়েছে। বিক্রির হার ভালো হলেও আগের বছরের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে প্রতিষ্ঠানটিকে-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
ফোনের বিক্রয় সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজার হলো ভারত। কিন্তু উচ্চমাত্রার শুল্কের কারণে স্মার্টফোনের মূল্যের সঙ্গে আরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মূল্য যোগ হয়। এজন্য বিকল্প হিসেবে স্যামসাং বা শিয়াওমির মতো বিকল্প স্মার্টফোনের খোঁজ করেন দেশটির গ্রাহকরা।
চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতে দেশটিতে আইফোন ৬এস ও আইফোন এসই-এর উৎপাদন শুরু করে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা এর মাধ্যমে তাদের আইফোনের দাম কিছুটা কমানো যাবে। কিন্তু এজন্য কারখানা পুরোদমে চালানো শুরু করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। এই সময়ের মধ্যে ভারতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও পেছনে পড়ে যাচ্ছে অ্যাপল।
অ্যাপলের জন্য ভারত একটি বড় সম্ভাবনার বাজার হতে পারে। আর দেশটিতে জোড়ালোভাবে ব্যবসা করতে ইঙ্গিত দিয়েছেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক।
ইতোমধ্যে ভারতে বিস্তৃত হয়েছে ৪জি নেটওয়ার্ক। আর মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে অ্যাপল পণ্য ব্যবহারের চাহিদাও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতে বিক্রির হার কম থাকলেও মে মাসে কুক বলেন দেশটিতে আয়ের পরিমাণ বেড়েছে, যা ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে রেকর্ড গড়েছে।