সামনের দশকের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উডুক্কুযানটি আকাশে ওড়ানোর আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্প বাস্তবায়নে এখন অংশীদারের খোঁজ করছে তারা, বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
রোববার রোলস-রয়েস এর পক্ষ থেকে বলা হয়, উল্লম্বভাবে ওঠানামা করবে এমন বৈদ্যুতিক যান বা ফ্লাইং ট্যাক্সির পরিকল্পনা করেছে তারা। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ মাইল বেগে চার থেকে পাঁচজন যাত্রী বহন করতে পারবে এই উডুক্কুযানটি। একবার পূর্ণ চার্জে ৫০০ মাইল দূরত্ব পাড়ি দিতে পারবে এটি।
সাধারণত প্লেন, হেলিকপ্টার এবং জাহাজের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করে রোলস-রয়েস। এর পাশাপাশি গাড়িও তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। এবার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফ্লাইং ট্যাক্সি তৈরির প্রতিযোগিতায় নামছে তারা। নতুন এই প্রযুক্তি মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই বৈদ্যুতিক ফ্লাইং ট্যাক্সি প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে প্লেন নির্মাতা এয়ারবাস, উবারসহ অনেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান। স্টার্টআপগুলোর মধ্যে একটি গুগল সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজের কিটি হক।
সোমবার অনুষ্ঠিতব্য ফার্নবোরাহ এয়ারশো-তে নিজেদের ডিজিটাল নকশা দেখাবে রোলস-রোয়স।
এক বিবৃতিতে রোলস-রয়েস জানায়, “আকাশ পথে ব্যক্তিগত যাতায়াত ব্যবস্থায়” নেতৃত্ব দিতে তারা ভালোভাবেই প্রস্তুত।
“প্রাথমিক ধারণার যানটি ছয়টি বৈদ্যুতিক পাখায় শক্তি সরবরাহ করতে গ্যাস টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। শব্দের মাত্রা কম রাখতে বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে পাখাগুলো।”
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, উডুক্কুযানটির ব্যাটারি রিচার্জিংয়ের দরকার পড়বে না কারণ এটি গ্যাস টারবাইন দিয়েই চার্জ করা হবে। আর হেলিপোর্ট এবং এয়ারপোর্টের মতো স্থাপনাগুলো ব্যবহার করবে যানটি।