ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইফোনের মালিক হওয়াটা হলো “বেশি আয়ের” সবচেয়ে ভালো লক্ষণ।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের আয়ের ওপর কীভাবে তার জীবনযাত্রা বদলে যায় তা জানতে মার্কিন ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনোমিক রিসার্চ-এর গবেষকদের সঙ্গে জরিপ চালিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো।
৯০-এর দশকে উচ্চ আয়ের মানুষদের বিচার করা হতো আপনি ‘পশ মাস্টার্ড’ কিনেছেন কিনা তার ওপর। এখন ধারণা করা হচ্ছে স্মার্টফোনই হলো সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ভালো লক্ষণ।
সাধারণত আইফোনের দাম গুগলের অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনগুলোর চেয়ে শুরু থেকেই বেশি। আইফোন X-এর বাজার মূল্য শুরু হয় ৯৯৯ ব্রিটিশ পাউন্ড থেকে। কিন্তু জরিপে উল্লেখ করা হয়নি ধনী ব্যক্তির তকমা পেতে হলে আপনাকে ঠিক কোন মডেলের আইফোন ব্যবহার করলে চলবে।
এই গবেষণার গবেষক মেরিয়েন বার্ট্রান্ড এবং এমির ক্যামেনিকা এ বিষয়ে আশ্বস্ত যে, অ্যাপল গ্যাজেট কেনা মানেই সমৃদ্ধশালী ব্যক্তির লক্ষণ।
এই দুই গবেষক বলেন, “২০১৬ সালে কারও কাছে একটি আইপ্যাড আছে কিনা এটা জানলে আমরা সঠিকভাবে ধারণা করতে পারি ওই সময় তার আয় ছিল ৬৯ শতাংশের চেয়ে কম বা বেশি।”
“আমাদের সব বছরের তথ্য থেকে অন্য কোনো ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে উচ্চ-আয়ের এতো ভালো ধারণা পাওয়া যায় না যতোটা ২০১৬ সালে একটি আইফোন কেনা থেকে ধারণা করা যায়।”
আগের বছর উন্মোচন করা সবচেয়ে কম দামি আইফোনের দামও শুরু হয়েছে ৬৯৯ ব্রিটিশ পাউন্ড। যুক্তরাজ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ৫১.৪৬ শতাংশই আইফোন ব্যবহার করেন।