উদ্ধার সাবমেরিন নিয়ে থাইল্যান্ডে মাস্ক

থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে থাকা কিশোরদের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ‘ছোট আকারের সাবমেরিন’ বানিয়ে তা নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছেন মার্কিন প্রকৌশলী ও নানা উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে পরিচিত পাওয়া ইলন মাস্ক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2018, 10:42 AM
Updated : 10 July 2018, 10:42 AM

এই খবর প্রকাশের আগ পর্যন্ত ওই গুহা থেকে আট কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

সোমবার রাতে মাস্ক তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে কিছু ছবি প্রকাশ করেন। এর সঙ্গে তিনি বলেন, “এই মাত্র কেইভ ৩ থেকে ফিরলাম। যদি দরকার হয় তবে ছোট-সাবটি এখন প্রস্তুত। এটি রকেটের বিভিন্ন অংশ দিয়ে বানানো হয়েছে আর কিশোর ফুটবল দলটির নামে এর নাম দেওয়া হয়েছে ওয়াইল বোর। ভবিষ্যতে এটি কাজে লাগানো যেতে পারে তাই এটি এখানে রেখে যাচ্ছি। থাইল্যান্ড সুন্দর।” 

টেসলা প্রধানের এই উদ্ধার সাবমেরিন নিয়ে থাইল্যান্ড পৌঁছানোর আগেই সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়ে যায়।

 
 

এর আগে সোমবার সকালে মাস্ক টুইটারে এই যন্ত্র নিয়ে ছবি আর ভিডিও পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, মাস্কের বানানো ডিভাইসটি নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলস-এর এক পুলে পরীক্ষা চলাচ্ছেন প্রকৌশলীরা। সেইসঙ্গে পানির নিচে সরু পথ দিয়ে এটি নিয়ে কীভাবে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হবে তার মহড়াও দেখানো হয় এতে। সে সময় মাস্ক জানান, তার দল আরেকটি আরও ছোট সংস্করণ বানানোর চেষ্টা করছে।

ছবি- ইলন মাস্ক

 

২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে এক কিশোরের জন্মদিন উদযাপন করতে ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করেন।

 

প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি আটকা পড়ে যায়।

নিখোঁজ হওয়ার ১০দিনের মাথায় দুই ব্রিটিশ ডুবুরি দলটির সন্ধান পায়। ওই কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।

রোববার থেকে কিশোরদের বের করে আনতে শুরু করেন ডুবুরিরা। ওই দিন চার কিশোরকে বের করে আনা সম্ভব হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং ডুবুরিদের নতুন করে গুহায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিতে ওই দিন অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল।

রোববার বের করে আনা চার কিশোরের সবাই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গুহা থেকে উদ্ধারের পর তাদের হেলিকপ্টারে করে চিয়াং রাই প্রাচানুকরহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকদিনের অনাহারে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ায় তারা যেন কোনো সংক্রমণে আক্রান্ত না হয় সেজন্য তাদের আলাদা করে রাখা হয়েছে।

সোমবার উদ্ধার কিশোরদেরও একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঠাণ্ডাজনিত কিছু সমস্যায় ভুগলেও তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানান উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা।