ইংল্যান্ডের স্টিভেনেজ-এ এয়ারবাসের দলটি ইতোমধ্যে ‘এক্সোমারস’ নামের একটি রোভার রোবট বানাচ্ছে যা ২০২১ সালে মঙ্গলে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কারণে এয়ারবাসের এই দলটিকে বাছাই করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাটি।
নাসার ‘মারস ২০২০’ রোভারটি মঙ্গলের নমুনাগুলো গুছিয়ে রেখে আসতে পারে। নতুন প্রকল্পের রোভারের একমাত্র কাজ হবে এগুলো খুঁজে বের করে সংগ্রহ করা। তবে এর মানে এই নয় যে, যানটি বানানো সহজ হবে- বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে।
মারস ২০২০ মঙ্গলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে নমুনা সংগ্রহ করে। এই নমুনাগুলো ৩০টি নলে রেখে সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় রেখে আসবে রোবটটি। আর নতুন প্রকল্পের রোভার রোবটটি ২০২৬ সালে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। এর কিছুটা দূর থেকেই ওই নমুনাগুলো শনাক্ত করা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওইগুলোর দিকে যাওয়া, একটি রোবোটিক হাতের সাহায্যে নলগুলো তোলা ও নিজের সংরক্ষণের জায়গায় রাখার সক্ষমতা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন নিজের চলার পথও এর নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।
এই প্রকল্পে এয়ারবাসের দলটির নেতৃত্বে থাকবেন বেন বয়েজ। তিনি বলেন, “এটি অপেক্ষাকৃত ছোট রোভার- ১৩০ কেজি; কিন্তু এর কাছ থেকে বেশ বড় কাজই আশা করা হচ্ছে। অনেক বেশি মাত্রা স্বয়ংক্রিয়তা ব্যবহার করে যানটিকে অনেক বড় দূরত্ব পাড়ি দিতে হবে, যেখানে দিনের পর দিন তার নিজের পথ নিজেকে ঠিক করতে হবে।”
মারস ২০২০-এর রেখে আসা সব নমুনা সংগ্রহ করতে এয়ারবাসের এই রোভারের প্রায় দেড়শ’ দিন লাগবে। যে রকেটে করে রোভারটি নামবে সব নমুনা সংগ্রহের পর এটিকে আবার সেই রকেট খুঁজে বের করতে হবে। রকেট খুঁজে পাওয়ার পর রোভারটি তার সংগ্রহ করা নমুনাগুলো রকেটে রাখবে ও রকেটটির যাত্রার ভিডিও করবে। এর মানে হচ্ছে হয়তো আর এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে মানুষ মঙ্গল থেকে প্রথম কোনো যানের উড্ডয়ন দেখতে পাবে।