মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে এক গ্রাহকের টুইটের জবাব দিতে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন টেসলা, স্পেসএক্স ও বোরিং প্রধান। ইতোমধ্যেই থাইল্যান্ডে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছেন তিনি। আটকে পড়া দলটি উদ্ধারে একের পর এক নতুন ধারণা দিয়ে যাচ্ছেন মাস্ক। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সাবমেরিনের ধারণা প্রকাশ করেন মার্কিন এই ধনকুবের।
প্রযুক্তি সাইট সিনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের মতে স্পেসএক্স রকেটের যন্ত্রাংশ দিয়ে ছোট একটি সাবমেরিন বানানো যেতে পারে, যা দলটিকে গুহা থেকে বের করে আনবে।
শনিবার টুইট বার্তায় মাস্ক বলেন, উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে স্পেসএক্স এবং বোরিং কোম্পানি। শুক্রবার মাস্ক বলেন, থাইল্যান্ডের পথে রওনা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠান দু’টির কর্মীদের একটি দল। সেখানে শিশুদের উদ্ধার করতে বায়ু পাম্প, ভাসমান সুরঙ্গ এবং ভূমিতে তীক্ষ্ণ রেডার ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে দলটি।
শনিবার টুইটে মাস্ক বলেন, এখন পর্যন্ত সাবমেরিনের ধারণাটি সবচেয়ে কঠিন।
তিনি আরও বলেন, “থাইল্যান্ড থেকে আরও দারুণ প্রতিক্রিয়া এসেছে। প্রাথমিক পথ আসলে ছোট আকারের একটি সাবমেরিন, যা ফ্যালকন ৯ রকেটের তরল অক্সিজেন স্থানান্তর টিউব ব্যবহার করবে। এটি এতোটা হালকা হবে যে দুইজন ডুবুরি এটি চালাতে পারবেন, এতোটা ছোট হবে যে সরু রাস্তা দিয়ে বের হতে পারবে।”
১১ দিন আগে চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহায় বেড়াতে গিয়ে কোচসহ আটকা পড়ে ১২ সদস্যের কিশোর ফুটবল দলটি। বন্যার পানিতে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেলে তারা সেখানে আটকা পড়েন। আরও ভারী বর্ষণে গুহার মধ্যে পানির পরিমাণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুহা থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি এতোটাই সরু যে সেখান দিয়ে স্কুবা ট্যাংক নিয়ে বের হওয়া সম্ভব না।
বৃহস্পতিবার শিশুদের অক্সিজেন সরবরাহ করে ফেরার পথে সেখানে মারা গিয়েছেন সামান গুনান নামে নৌবাহিনীর এক সাবেক ডুবুরি। গুহা থেকে বের হওয়ার কাজটি কতোটা বিপজ্জনক হতে পারে তার ধারণা পাওয়া গেছে এই ঘটনায়।