প্রত্যন্ত এলাকায় বেলুন দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দিতে প্রজেক্ট লুন নামের প্রকল্প চালু করে অ্যালফাবেটের উদ্ভাবনী গবেষণাগার ‘এক্স’। ২০১৭ সালে এক ঘূর্ণিঝড়ের পর পুয়ের্তো রিকো’র আড়াই লাখেরও বেশি মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
কেনিয়ার তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জো মুশেরু বুধবার রয়টার্স-কে বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে প্রকল্পের প্রতিনিধি আর স্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, “লুন কর্তৃপক্ষ এখনও চুক্তি নিয়ে কাজ করছে আর আশা করি এটি একবার হয়ে গেলেই দেশের প্রায় প্রতিটি অংশ এর আওতায় চলে আসবে।”
কেনিয়ার স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে নিশ্চিত করলেও প্রজেক্ট লুন এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
“আমরা সবসময় বিশ্বজুড়ে সরকার আর টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ করছি।” - যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রজেক্ট লুন-এর এক মুখপাত্র বলেন।
কেনিয়ার বড় শহরগুলোর সাড়ে চার কোটিরও বেশি মানুষ টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর বিশাল অংশ এখনও এই নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
এসব প্রত্যন্ত এলাকার কিছু অংশে ইন্টারনেট সংযোগ আনতে অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত টেলিভিশন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করছে মাইক্রোসফটের পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা কেনিয়ার এক স্টার্ট-আপ।