মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পর্যটন শহর গ্যালভেস্টনের কাছাকাছি এলাকায় উডুক্কুযানটি জনসমক্ষে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় দেখানো হবে সুপারসনিক বা শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে ওড়ার সময় তাদের যানটি অতি সামান্যই শব্দ করে।
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন একটি সুপারসনিক প্লেন যা ‘সনিক বুম’ তৈরি করে না, তা এভিয়েশন শিল্পে বিপ্লব আনবে।
আগে নাসা’র এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পের নাম বলা হয়েছিল এক্স-প্লেন বা ‘লো-ফ্লাইট ফ্লাইট ডেমোনস্ট্রেটর’। সম্প্রতি এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে এক্স-৫৯ কিউএসএসটি। পরীক্ষা সফল হলে এই প্রযুক্তি সুপাসনিক ফ্লাইট আরও সাশ্রয়ী করতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকে এফ/এ-১৮ হরনেট জেট দিয়ে গ্যালভেস্টনের ওপর দিয়ে এক্স-৫৯ এর সনিক প্রোফাইল অনুকরণ করবে নাসা। সেখানে কোনো শব্দ পাওয়া গেলে ওই এলাকার ৫০০ বাসিন্দার একটি দল শব্দের মাত্রা লিখে রাখবেন বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি প্লেনটি বানাতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের সঙ্গে ২৪.৭৫ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা।
নাসা’র আর্মস্ট্রং ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারের অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী এড হ্যারিং বলেন, “প্লেনের পাখা যা এটিকে ওপরে ওঠাবে এবং প্লেনের আয়তনের কারণে এক্স-৫৯ এ আপনি এখনও একাধিক শকওয়েভ টের পাবেন। কিন্তু প্লেনের আকার এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে ধাক্কাগুলো একীভূত হয়ে বড় শকওয়েভ তৈরি না করে।”
“জোড়ালো বুম-বুম আওয়াজের পরিবর্তে আপনি অন্তত দুইবাড় ঠক-ঠক আওয়াজ পাবেন, যদি সেটা শোনা সম্ভব হয়।”
২০২১ সালে এক্স-৫৯ তৈরির কাজ শেষ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্লেনটি তৈরির কাজ শেষ হলে এবং এর শব্দের মাত্রা সহনীয় হলে মার্কিন শহরের ওপর দিয়ে এর পরীক্ষা চালাবে নাসা। আর ভূমি থেকে এর তথ্য সংগ্রহ করা হবে।