মোট প্রায় ২৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার জিডিপি’র এই অঞ্চলের ব্যবসায় ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে সচেতন করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এই গবেষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সাইবার নিরাপত্তা হুমকির সম্যক ধারণা: ডিজিটাল বিশ্বে আধুনিক এন্টারপ্রাইজগুলোর সুরক্ষা’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবসায় ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে মাঝারি এবং বৃহৎ মানের প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ১৩০০ ব্যক্তিকে নিয়ে জরিপ করা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জরিপ করা ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বা তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। আর তথ্য নিরাপত্তা লঙঘনের বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭ শতাংশ।
জরিপে ছয়জন উত্তরদাতার মধ্যে এক জন জানিয়েছেন, সাইবার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিজিটাল রূপান্তর স্থগিত করেছে।
এ প্রতিবেদন মতে, মুক্তিপণ দাবির মতো সাইবার আক্রমণ বা র্যানসমওয়্যার এন্টারপ্রাইজগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলো যারা সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে সেসবের মধ্যে প্রতারণাপূর্ণ ওয়্যার ট্রান্সফার, ডেটা দুর্নীতি ও অনলাইন ব্র্যান্ড ইমপারসোনেশন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় ও শঙ্কার কারণ; কেননা এ ধরনের ক্ষতি প্রতিষ্ঠানের জন্য মারাত্মক এবং এ ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর খুবই কম সময় থাকে।
প্রতিবেদনের বলা হয়, এ অঞ্চলে চারটির মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান সাইবার নিরাপত্তার সুরক্ষা বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যেই এআই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে বা করার পথে আছে।