পেটেন্ট থেকে ধারণা করা হচ্ছে ভেতরে এবং বাইরে দুই দিকেই বাঁকানো যাবে ডিভাইসটি। আর স্মার্টফোনটির কব্জার মধ্যে রাখা হতে পারে একটি থার্মাল উপাদান, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
সোমবার স্মার্টফোনবিষয়ক খবরের সাইট জিএসএমঅ্যারেনার প্রতিবেদনে বলা হয়, “প্রযুক্তিটি খুবই চতুর। এখানে একটি তাপমাত্রা মাপার সেন্সর রয়েছে, যা ফোনটি বন্ধ বা ভাঁজ করা থাকলেও কাজ করে। যদি তাপমাত্রা অনেক কম হয় পর্দা বিকৃত হতে শুরু করে, তাই এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করতে কব্জা উষ্ণ হতে থাকে।”
১৪ জুন মার্কিন পেটেন্ট অ্যাপ্লিকেশন পাবলিকেশনের অনুমোদিত নথিতে বলা হয়, “নকশাটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভাঁজযোগ্য পর্দার কোনো অংশে আধা স্থায়ী বিকৃতি সারানোর একটি প্রক্রিয়া।”
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পেটেন্ট আবেদনটি জমা দেয় মোটোরোলা। চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশনের অনুমোদন পায় এটি।
স্মার্টফোনের ভাঁজযোগ্য পর্দা নিয়ে কাজ করছে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান। সবার আগে এমন পর্দার প্রোটোটাইপ ডিভাইস নিয়ে কাজ শুরু করছে মোটোরোলার মূল প্রতিষ্ঠান লেনোভো।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে সামনের বছরের মধ্যে ভাঁজযোগ্য ওলেড পর্দার প্রথম স্মার্টফোন বাজারে আনবে স্যামসাং।