এই পদক্ষেপের ফলে পুলিশের জন্যও অনুমোদন ছাড়া আইফোন আনলক করা কঠিন হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে। যদিও মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে থামাতে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে এমনটা স্বীকার করতে নারাজ প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যবহারকারীদের আলাপচারিতায় অ্যাকসেস পেতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাপল ইতোমধ্যেই বড় বিরোধী শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমনটাই বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে এই পরিবর্তন আনা হবে।
পুলিশ বলছে, আইফোন আর আইপ্যাড আনলক করতে পারাটা তাদের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৪ জনকে খুন করা আসামী রিজওয়ান ফারুক-এর আইফোন আনলক করতে ব্যাকডোর চেয়ে ২০১৬ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। আদালতের রায়ও যায় গোয়েন্দা সংস্থাটির পক্ষে। কিন্তু এ নিয়ে আইনি লড়াই চালানোর ঘোষণা দেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক, আদালতের এমন রায় নিয়ে প্রযুক্তি খাতের অনেকেই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে এফবিআই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ওই আইফোন আনলক করতে সক্ষম হলে আদালত ওই মামলার ইতি টানে।
সর্বশেষ পদক্ষেপ নিয়ে এক বিবৃতিতে অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “হ্যাকারদের হাত থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করা, চোরদের শনাক্ত করা, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা নিরাপত্তা লঙ্ঘন ঠেকাতে তাদেরকে সহায়তায় আমরা সবসময় প্রতিটি অ্যাপল পণ্যের নিরাপত্তা সুরক্ষা শক্তিশালী করছি।”
“আইন প্রয়োগকারীদের প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে, আর আমরা তাদের কাজে তাদের চেষ্টা ব্যহত করার উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা উন্নয়ন করি এমনটা নয়।”