খেলাধূলায় রেফারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্লো মোশন ভিডিও’র প্রভাব কেমন- এ বিষয়ে জানতে গবেষণার এটিই প্রথন নজির বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে। চলতি মাসেই রাশিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। এতে ব্যবহার করা হবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিং বা ভিএআর প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই এ তথ্য প্রকাশিত হলো।
বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অফ লিওভেন-এর গবেষকরা ফাউলের ভিডিও ক্লিপ দেখে হলুদ কার্ড দেওয়া ৮৮ জন ‘এলিট’ ফুটবল রেফারির উত্তর নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন।
ফাউল হয়েছে কিনা সে প্রশ্নে স্লো মোশন আর স্বাভাবিক গতির ভিডিও দেখে রেফারিদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য খুঁজে পাননি গবেষকরা। স্বাভাবিক গতির ভিডিও দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার হার ৬১ শতাংশ, আর স্লো মোশনে তা ৬৩ শতাংশ।
ফাউল কতোটা ইচ্ছাকৃত আর কতোটা গুরুতর তার উপরও রেফারির সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। স্বাভাবিক ভিডিওর তুলনায় স্লো মোশন ভিডিও দেখে লাল কার্ড দেখানোর সংখ্যা বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক জোচিম স্পিট বলেন, “আমাদের ফলাফল মতে, স্লো মোশন বিচারের কঠোরতা বাড়িয়ে দিতে পারে, বেখেয়ালি ফাউল (কোনো কার্ড নেই), বেপরোয়া (হলুদ কার্ড) আর অত্যধিক মাত্রায় ফাউল (লাল কার্ড)-এর মধ্যে এটি পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে।
‘কগনিটিভ রিসার্চ: প্রিন্সিপলস অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস’ নামের জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।