এক নজরে বাজেটে প্রযুক্তি খাত

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই বাজেটে এবার প্রযুক্তি খাতের কিছু ক্ষেত্রে কমিয়ে আনা হয়েছে কর, কিছু ক্ষেত্রে আবার নতুন করে কর বসানো হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2018, 04:32 PM
Updated : 7 June 2018, 04:32 PM

বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার উপর ৪.৫ শতাংশ এর স্থলে পাঁচ শতাংশ হারে মূসক বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জন্য মোট ৬,০৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন তিনি।

প্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো

  • অনলাইন প্লাটফর্ম বা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা কেনা-বেচায় পাঁচ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। 
  • ফেইসবুক, গুগল আর ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বাংলাদেশে করা আয়ের উপর কর আরোপের আইন সংযোজন করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
  • রাইড শেয়ারিং বা অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট বসানো হবে। এক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা চালকের ভ্যাট দিতে হবে না। এই ভ্যাট আরোপ হবে এই সেবামূল্য থেকে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যে লাভ করছে তার উপর।
  • দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন কার্যক্রমকে প্রণোদনা দিতে ‘মোবাইল টেলিফোন সেট’কে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি সুবিধা দিতে একটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করেন মুহিত। সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কতিপয় কাঁচামালে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করেছেন তিনি। স্থানীয় মোবাইল উৎপাদনের উপর সারচার্জ অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করে আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব আনা হয়েছে। মোবাইল ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হচ্ছে, এ শুল্ক অধিকাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে এক শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে।
  • ডেটাবেইস, প্রডাক্টিভিটি সফটও্য়্যার, যোগাযোগে ব্যবহৃত সফটওয়্যার, স্বয়ংক্রিয় ডেটা প্রসেসিং মেশিনে ব্যবহৃত সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেমের মতো এমন সফটওয়্যার আমদানিতে সবখাতে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এই খাতে বর্তমানে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির কথাও বলা হয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী। “ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে চলমান বিজ্ঞানবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার কলেবর বৃদ্ধি করে উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে” বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং চট্রগ্রাম বিভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের শাখা স্থাপন কাজ চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, “এ ছাড়াও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-কে একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এবং সেন্টার ফর টেকনোলজি ট্রান্সফার অ্যান্ড ইনোভেশন হিসেবে রূপান্তর করা হচ্ছে।” পারমাণবিক নিরাপত্তা ও পারমাণবিক বিকিরণ থেকে সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অবকাঠামো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।