এর আগে মুদ্রা পাচার আর জালিয়াতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এরিন ফিনান ও তার স্ত্রী লিহ ফিনান, উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
নিজেদের অর্ডার করা ইলেকট্রনিকস পণ্য নষ্ট ছিল বলে দাবি করেছিলেন এই দম্পতি। এরপর বিনামূল্যে সেসব পণ্য বদলে নিয়েছেন তারা। এর মাধ্যমে তারা অ্যামাজনের গ্রাহক সেবা নীতিমালা লঙ্ঘন করেন।
মামলার কৌঁসুলী বলেছেন, এই কারাদণ্ড অন্যান্যদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হওয়া উচিৎ।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট অফ ইন্ডিয়ানা’র অ্যাটর্নি জশ মিঙ্কলার বলেন, “ভোক্তা জালিয়াতি শুধু অপরাধীদের লাভবান করে তা নয়, এর ফলে আমাদের সবাইকে উচ্চ খুচরা মূল্য পরিশোধ করতে হয়।”
এই দম্পতি অ্যামাজন থেকে গ্যাজেট অর্ডার করার জন্য কয়েকশ’ ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করেছেন। তারপর ওই ডিভাইসগুলো নিয়ে মিথ্যা সমস্যার অভিযোগ তুলেছেন। তারপর বদলে নেওয়া ডিভাইসগুলো বিক্রি করে দেন।
২০১৭ সালের নভেম্বরেই তাদের কারাদণ্ড হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে খুচরা পণ্য নির্মাতা আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জালিয়াতি করার অভিযোগ ওঠায় বিলম্ব হয়।
অ্যামাজনের সঙ্গে জালিয়াতি করে এই দম্পতি দুই হাজার সাতশ’রও বেশি ইলেকট্রনিকস পণ্য চুরি করেছেন। এগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফট এক্সবক্স কনসোল, স্যামসাং স্মার্টওয়াচ, অ্যাপল ম্যাকবুক আর গোপ্রো ক্যামেরাও ছিল।
এই পণ্যগুলো তারা ড্যানেজি গ্লুম্যাক-নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেয়। ওই ব্যক্তিকে ২৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।