সাধারণত ডেটা সেন্টারগুলো প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপাদন করে। আর শক্তি খরচ কমাতে ঠাণ্ডা দেশগুলোতে ডেটা সেন্টার তৈরি করে থাকে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়, শক্তির খরচ কমাতে উপসাগরের তলদেশে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ডেটা সেন্টারটি পরীক্ষা করবে মাইক্রোসফট। ২০১৫ সালেও ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে পাঁচ মাসের জন্য একটি ডেটা সেন্টার ডুবিয়ে রেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এবারের ডেটা সেন্টারটি পানির নিচে থাকবে পাঁচ বছর। ১২টি তাকের এই ডেটা সেন্টারটিতে ৮৬৪টি সার্ভার এবং ২৭.৬ পেটাবাইট স্টোরেজ রয়েছে। প্রায় ৫০ লাখ সিনেমা মজুদ করা যাবে এতে। আর কয়েক হাজার হাই-এন্ড ডেস্কটপ পিসির ক্ষমতার সমান হবে ডেটা সেন্টারটি।
সাগরের তলদেশ দিয়ে তার এবং ওর্কনে আইল্যান্ডস-এর নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে ডেটা সেন্টারটিতে শক্তি সরবরাহ করা হবে। তারের মাধ্যমেই সার্ভারকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মাইক্রোসফটের প্রত্যাশা ‘ন্যাটিক’ নামের এই গবেষণা প্রকল্পটি নকশা এবং কার্যক্রমের সমস্যাগুলো বের করে আনবে। এর থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাস্তবে বিশ্বজুড়ে আরও এমন ডেটা সেন্টার তৈরি করা হবে কিনা।