শুধু ভূমিতে নয় সাগরে ভাসমান জাহাজেও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে পারবে এই ড্রোন। এমন ধরনের প্রযুক্তি হয়তো টাইটানিক জাহাজকেও বাঁচাতে পারতো বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা হান্নান পারভিজিয়ান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার লেইক প্লিজ্যান্টের ওপর দিয়ে ড্রোনের সাম্প্রতিক পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ভোলানস-আই। এতে ড্রোনটিকে চলমান নৌকার সঙ্গে যুক্ত একটি প্লাটফর্ম থেকে আকাশে উড়তে ও নামতে দেখা গেছে-- খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র।
২০ পাউন্ড কার্গো নিয়ে ৫০০ মাইল পর্যন্ত যাত্রা করতে পারবে এই ড্রোন। এটির সর্বোচ্চ গতি বলা হয়েছে ঘন্টায় ২০০ মাইল। স্থির পাখার এই ড্রোনটি উল্লম্বভাবে ওঠানামা করতে পারে এবং ওড়ার জন্য এতে ব্যাটারি এবং জ্বালানী দু’টোই ব্যবহার করা হয়েছে।
১৫x১৫ ফুট জায়গার যে কোনো প্লাটফর্মে নামতে বা উঠতে পারে ভোলানস-আই ড্রোন। তাই সরবরাহ পেতে গ্রাহককে বিশেষ কোনো কাঠামো বানানোর প্রয়োজন নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আকাশসীমায় ড্রোনগুলো কীভাবে পরিচালনা করা হবে এখনও তা বের করার চেষ্টা করছেন নীতিনির্ধারকরা। তবে ভোলানস-আই সেই সব প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি যা পরবর্তী প্রজন্মের ড্রোনভিত্তিক ইউপিএস, মার্সক বা ফেডএক্স হতে চায়।
এই খাতে ভোলানস-আইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে জিপলাইন, ফ্লারটে, ম্যাটারনেট, ইম্পসিবল অ্যারোস্পেস এবং অ্যামাজন ও ডিএইচএল-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
অনেক ড্রোন সরবরাহকারী ব্যবসার লক্ষ্য যেখানে খাদ্য এবং মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহ করা সেখানে ভোলানস-আইয়ের লক্ষ্য কারখানা, হাসপাতাল, নির্মাণ স্থল এবং সাগরের জাহাজে ভারী যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা।
আগে টেসলার পরিচালন বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন পারভিজিয়ান। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করে তিনি ভোলানস-আইয়ের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
“যখন আমি টেসলায় কাজ করতাম, প্রতিনিয়তই আমাদের এই সমস্যা পড়তে হতো। কিছু যন্ত্রাংশ দ্রুত আমাদের সেবা কেন্দ্রে সরবরাহ করতে হতো বা যন্ত্রাংশগুলো আমাদের মূল গুদামে আনতে হতো। সংখ্যার দিকে তাকিয়ে আমি খুঁজে বের করি কেউ যদি ড্রোনের ব্যবহার বি২বি সরবরাহের সঙ্গে একত্রিত করতে পারে এটি আমাদের জন্য খুব সহায়ক হবে এবং আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য,” বলেন পারভিজিয়ান।
প্রতিষ্ঠানের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওয়েজলি গুয়ানগুইয়ান ঝ্যাং। তিনিও আরেক বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লুসিড মোটর্সের সাবেক কর্মী ছিলেন।