বর্তমানে সারাবিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির ১,২২৯টি সুপারচার্জার স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে ৯,৬২৩টি সুপারচার্জার স্টেশন এক একটি বৈদ্যুতিক গাড়িকে ৩০ মিনিটে প্রায় ৮০ শতাংশ চার্জ করতে পারে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১২ মে-এর মধ্যে টেসলা ১২১টি নতুন স্টেশন যোগ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
শহুরে এলাকাগুলোতে সুপারচার্জার স্টেশনগুলো স্থাপন করছে টেসলা যাতে শহরবাসী আর শহরের বাইরে থেকে আসা লোকেরা সহজেই চার্জ করাতে পারেন।
মুদি দোকান আর শপিং সেন্টারের মতো সুবিধাজনক স্থানগুলোতে এই স্টেশনগুলো স্থাপন করা হচ্ছে।
রোববার এক টুইটে মার্কিন প্রকৌশলী ও ধনকুবের মাস্ক বিশ্বের কোথায় কোথায় নতুন সুপারচার্জার স্টেশনগুলো আসতে যাচ্ছে তার মানচিত্র দেখান। মূলত ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা আর চীনেই এই স্টেশনগুলো বসানো হচ্ছে।
সুপারচার্জার খুব দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে আর ব্যাটারিগুলো পূর্ণ হওয়া শুরু করলে এর গতি কমা শুরু করে।
টেসলার পক্ষ থেকে বলা হয়, “যাত্রার জন্য যখন যথেষ্ট শক্তি জমে যায় তখন আপনার গাড়ি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাকে জানাবে আর জনপ্রিয় রুটগুলোতে সুপারচার্জার স্টেশনের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক থাকা ৮০ শতাংশের বেশি চার্জ করা সাধারণত দরকার হয় না।”
প্রতি বছর টেসলা মডেল এস এবং মডেল এক্স মালিকরা চারশ’ কিলোওয়াট ফ্রি সুপারচার্জার ক্রেডিট পেয়ে থাকেন, যা প্রায় ১,৬১০ কিলোমিটার চলার জন্য যথেষ্ট।
আনুমানিক হিসাবে সুপারচার্জারে প্রতি কিলোওয়াট চার্জ করতে ০.২৬ ডলার খরচ হয়। এক্ষেত্রে খরচ গাড়ির অবস্থান, কনফিগারেশন, ব্যাটারির বয়স আর অবস্থা, চালানোর স্টাইল আর পরিবেশ ও জলবায়ু অবস্থার উপর নির্ভর করে।
টেসলা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা তাদের তিন লাখতম গাড়িটি ইতোমধ্যে বানিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে ২,১২,৮২১টি মডেল এস, ৭১,৯২৭টি মডেল এক্স এবং ১৭৭০টি মডেল ৩ গাড়ি রয়েছে।