ইউটিউবের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী মোহামেদ হামেদ সালেম। বাদীর বরাত দিয়ে শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “এটি চূড়ান্ত রায়, আপিল যোগ্য নয় এবং প্রয়োগযোগ্য।”
এর আগে ইউটিউব ব্লক করতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেয় দেশটির নিম্ন আদালত। কিন্তু এটি প্রয়োগ করা কঠিন হবে বলে পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইএএনএস।
২০১৩ সালে ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন মিশরীয় আইনজীবী সালেম। ইউটিউব থেকে হযরত মোহাম্মদ (সা.) এবং অন্যান্য ইসলাম বিরোধী ভিডিও না সরানো পর্যন্ত ইউটিউব নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি।
সালেম বলেন, “ইউটিউবের জন্য এই রায় এমন সাজা যা বড় আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে।”
২০১২ সালে প্রথম এই ভিডিওটি ইউটিউবে চালু হয়। এতে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে মুসলিম বিশ্বে মার্কিন বিরোধী আন্দোলন করতে দেখা গেছে। ভিডিওটি ব্যক্তিগত খরচে ক্যালিফোর্নিয়ায় তৈরি করা হয় বলেও জানানো হয়েছে।
সালেম বলেন, “এই আক্রমণাত্মক ভিডিওটি” সেসময় কিছু মৌলবাদীকে কায়রোর মার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা চালাতে প্রভাবিত করেছে।
ঠিক কীভাবে দেশটিতে ইউটিউব বন্ধ করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার বিকেলেও দেশটিতে ইউটিউব সেবা চালু ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
“নিষেদ্ধাজ্ঞা প্রয়োগ করার দায়িত্ব এনটিআরএ-এর এবং তা করতে প্রযুক্তিগত কোনো জটিলতা নেই,” এমনটা জানিয়ে সালেম সতর্কতা দেন যে, “নিষেদ্ধাজ্ঞা যদি প্রয়োগ করা না হয় এনটিআরএ প্রধানের বিরুদ্ধে আমি মামলা করবো।”