ইইউ’র নতুন ডেটা নীতি, প্রভাব মার্কিন সংবাদ সাইটেও 

ইইউতে নতুন ডেটা সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন শুরুর পর বড় কিছু মার্কিন সংবাদ সাইট ইউরোপে পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2018, 02:40 PM
Updated : 26 May 2018, 05:26 PM

এই সংবাদ সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে শিকাগো ট্রিবিউন আর লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস-এর নাম।

এদিকে জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) প্রয়োগ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

ইউরোপীয় নাগরিকদের ডেটা কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে জিডিপিআর নাগরিকদেরকে আরও বেশি অধিকার দেয়। ডেটা ব্যবহারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা কমিয়ে আনার চেষ্টায় এটি ইইউ-এর গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।

এই নীতিমালার অধীনে ইইউ-তে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা আইনগতভাবে ব্যবহার করছে তা প্রমাণ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহারে ছয়টি আইনি ভিত্তি রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ভোক্তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া। এ ছাড়াও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এটিও দেখাতে হবে যে কোনো বিশেষ কারণে তাদের ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার জরুরী।

ফেইসবুক, গুগল, ইনস্টাগ্রাম আর হোয়াটসঅ্যাপ-এর বিরুদ্ধে সেবাগুলো ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে লক্ষ্য করে দেওয়া বিজ্ঞাপনগুলোতে অনুমতি দিতে বাধ্য করার অভিযোগ এসেছে। যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলো দায়ী হয় তবে তাদেরকে তাদের পরিচালনার উপায় বদলাতে বাধ্য করা হতে পারে, এমনকি জরিমানাও করা হতে পারে। 

সংবাদ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ট্রঙ্ক এবং লি এন্টারপ্রাইজ-এর অধীনস্থ সংবাদ সাইটগুলো নতুন নীতিমালার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ট্রঙ্ক-এর সাইটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ, শিকাগো ট্রিবিউন, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস, অরল্যান্ডো সেন্টিনেল এবং বাল্টিমোর সান। অন্যদিকে, লি এন্টারপ্রাইজ ২১টি অঙ্গরাজ্যজুড়ে ৪৬টি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করে।

আক্রান্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস রয়েছে। ইইউ’র ব্যবহারকারীদেরকে নতুন নীতিমালা মানতে বলা সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং টাইমস-এর নাম।