ফেইসবুক প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে ডাকা হলেও তিনি সশরীরে উপস্থিত না হয়ে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের সামনে তার পক্ষ থেকে ফেইসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক স্ক্রোফার-কে পাঠান। এপ্রিলের ওই শুনানিতে স্ক্রোফার সব বিষয়ে জবাব দিতে পারেননি উল্লেখ করে ফেইসবুকের দিকে আরও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে কমিটি, খবর রয়টার্স-এর।
ফেইসবুকের যুক্তরাজ্যের জননীতিমালা প্রধান রেবেকা স্টিমসন কমিটির দেওয়া চিঠিতে থাকা বাড়তি প্রশ্নগুলোর জায়গায় ৩৯টি জবাব দিয়েছেন। কিন্তু কমিটির প্রধানের দাবি তারা যে তথ্য চাচ্ছেন ওই জবাবগুলোতে তার অভাব রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট কমিটি-এর প্রধান ডেমিয়ান কলিন্স বলেন, “এটি হতাশাজনক যে ফেইসবুকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য না দেওয়া ও স্বচ্ছতা বজায় না রাখার পথ বেছে নিয়েছে।”
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছিল মার্কিন ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। ২০১৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলেকজান্ডার কোগান-এর বানানো এক অ্যাপ থেকে সংগ্রহ করা ডেটা চলে গিয়েছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে। সেই ডেটা ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই ব্যবহার করা হয় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায়। চলতি বছর এ খবর প্রকাশ হলে চাপের মুখে পড়ে ফেইসবুক। এই ডেটা কেলেঙ্কারির জের ধরেই তদন্তের জন্য মার্কিন ও ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা জাকারবার্গকে ডাক দেন। মার্কিন কংগ্রেসের সামনে নিজে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
কলিন্স বলেন, ফেইসবুক যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য দেয়নি এমন বিষয়গুলোর মধ্যে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির বিষয়ও রয়েছে।
চিঠিতে স্টিমসন বলেন, ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে দেয়নি। যদিও সামাজিক মাধ্যমটি একজন গবেষককে টুল দিয়েছিলেন। ওই গবেষকই পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ডেটা শেয়ার করেছেন বলে দেখা গেছে।