যেমনটা ভাবা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি কৌশলী উপায়ে এই প্রমাণ নেওয়া হবে বলেই ভাষ্য প্রযুক্তি সাইট দ্য নেক্সট ওয়েব-এর।
সাইটটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হয়তো অধিকাংশ পর্ন সাইট ব্যবহারকারীদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তাদের বয়স যাচাই করবেন। আর যুক্তরাজ্যের আইনে ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে বয়স ১৮-এর বেশি হতে হয়।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্রিটিশ ব্যক্তির কোনো ক্রেডিট কার্ড নেই। আর এক্ষেত্রে কাজ করেন কিন্তু মূলধারার ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারের অধিকার নেই এমন ১৬ লাখ প্রাপ্তবয়স্ককে গণনায় আনাই হয়নি।
এই সমস্যার সমাধানে বয়স যাচাইয়ে নতুন কৌশলের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাজ্যে এই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারি বিভাগ ব্রিটিশ বোর্ড অফ ফিল্ম ক্লাসিফিকেশন বা বিবিএফসি। এর ফলে রাস্তার পাশের দোকান থেকে প্রাপ্তবয়স্কদেরকে ‘পর্ন পাস’ কিনতে হবে।
রাস্তার পাশের দোকানে গিয়ে ‘পর্ন পাস’ চাইতে হবে। যদি কারও চেহারা দেখে বয়স কম বলে মনে হয় তবে দোকানদার তাকে তার পরিচয় প্রমাণ করতে বলতে পারবেন। এক্ষেত্রে পর্ন পাস চাওয়া ব্যক্তিকে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট দেখাতে হবে।
বয়স যাচাই হয়ে গেলে দোকানদার একটি ১৬ অংকের কোড দেবেন। ওই কোড ব্যবহার করেই অনলাইনে এক্স-রেটেড ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে হবে।
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর সূত্রমতে, প্রতিটি পর্ন পাসের দাম হবে প্রায় ১০ পাউন্ড।
এক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট ভিজিট করতে চাওয়া ব্যক্তিরা তাদের নাম, বয়স বা পাসপোর্টের তথ্যের মতো ব্যক্তিগত তথ্য না দিয়েও সাইট ভিজিট করার সুযোগ পাবেন। এর ফলে তাদের ডেটা নিরাপত্তা নিয়েও শংকা কমবে।