বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাবে, আনবেও: পলক

দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করায় যে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট চালু হলে তা বেঁচে যাবে বলে মন্তব্য করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2018, 12:22 PM
Updated : 12 May 2018, 11:35 AM

পাশাপাশি দেশের প্রথম এই কৃত্রিম উপগ্রহের বাড়তি সক্ষমতা ভাড়া দিয়ে বিদেশি মুদ্রা আয়ও হবে বলে মনে করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঐতিহাসিক মুহূর্তের আগে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। 

ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে কক্ষপথে রওনা হবে বঙ্গবন্ধু-১। এই কৃত্রিম উপগ্রহকে জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার কক্ষপথে নিয়ে যাবে ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫ সংস্করণ।

বিবৃতিতে পলক বলেন, সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

“বর্তমানে বাংলাদেশের সবগুলো টিভি চ্যানেল তাদের সম্প্রচারের জন্য বিদেশি স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভরশীল। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের পর টিভি চ্যানেলগুলোর বিদেশ নির্ভরতা যেমন  কমে আসবে তেমনি সাশ্রয় হবে মহামূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা।

“আমরা আমাদের দেশের সকল টিভি চ্যানেলের চাহিদা মিটিয়ে আমাদের স্যাটেলাইট অন্যান্য দেশের টিভি চ্যানেলের জন্য ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করতে পারব। আমাদের স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। আমাদের বর্তমানে যে চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করেও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে যে, অনন্ত ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশিদের জন্য ভাড়া দেব।”

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বা দুর্গম পাহাড়ী এলাকা যেখানে ফাইবার অপটিক দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া কঠিন, সেসব জায়গায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

পলক বলেন, “এর বাইরেও যোগাযোগ স্যাটেলাইট তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়। দুর্যোগের সময় ভূমি কেন্দ্রিক যোগযোগ ব্যবস্থা অকার্যকার থাকলেও স্যাটেলাইট তখন কার্যকর থাকে। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে-পরেও স্যাটেলাইট যোগাযোগ খুবই ব্যবস্থা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

এই উদ্যোগের জন্য প্রতিমন্ত্রী পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।