ভবিষ্যতে আরও দ্রুত ও কম খরচে ভিডিও গেইম বানাতে এই কৌশল ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এই ‘জনপ্রিয়’ ফার্স্ট-পারসন শুটার গেইমটির আগের লেভেলগুলো দেখিয়ে নতুন লেভেল বানাতে ঐ এআই নেটওয়ার্ককে প্রশক্ষণ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
ডুব গেইমের অসংখ্য লেভেল রয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আর খেলোয়াড়দের নিজেদের বানানো এসব লেভেল অনলাইনে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এর ফলে এ থেকে প্রচুর ডেটা পাওয়া গিয়েছে।
১৯৯৩ সালে বাজারে আসা ডুম গেইমটিকে ভিডিও গেইম ইতিহাসে বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইতালির পলিটেকনিকো দি মিলানো-এর গবেষকরা এক্ষেত্রে ‘জেনারেটিভ অ্যাডভারসিয়াল নেটওয়ার্ক বা জ্যান’ নামের ডিপ-লার্নিং কৌশল ব্যবহার করেছেন। জেনারেটর এবং ডিসক্রিমিনেটর নামে পরিচিত দুটি নিউরাল নেটওয়ার্ক এতে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে।
নির্মাতাদের বানানো এক হাজার আর এই গেইমিং সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আসা নয় হাজার ডুম লেভেলের ডেটা ব্যবহার করে এআই নেটওয়ার্কটিকে প্রশিক্ষণ দেন গবেষকরা।
হাঁটার জায়গা, দেওয়াল, মেঝে, উচ্চতা, অন্যান্য বস্তু আর কক্ষগুলোর বিন্যাস এআই-কে দেখাতে প্রতিটি লেভেলের ছবি ব্যবহার করা হয়। সেইসঙ্গে কক্ষের সংখ্যা, অন্যান্য আকৃতি আর লেভেলের বর্ণনামূলক তথ্যও এআই নেটওয়ার্কটিকে দিয়েছেন গবেষকরা।
খেলার যোগ্য একটি লেভেল বানাতে নেটওয়ার্কটি ৩৬ হাজার বার চেষ্টা করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণার প্রধান গবেষণা এডোয়ার্ডো গিয়াসোমেল্লো জানান, এখানে এখনও মানুষের কাজ করার জায়গা রয়েছে। তিনি বলেন, “নির্মাতারা (মানুষ) উচ্চমাত্রার ফিচারে মনযোগ দিতে পারবেন।”
সুপার মারিও গেইমের নতুন লেভেল বানাতেও একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’র গবেষকরা।
সুপার মারিও এবং ডুম- দুটি গেইমেরই নতুন এআইনির্মিত লেভেলগুলো এখনও প্রোটোটাইপ অবস্থায় রয়েছে আর এগুলো খেলোয়ারদের পরীক্ষার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এবি/এইচবি/মে ০৮/২০১৮