জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৫ম ব্যাচের যাত্রা শুরু

সোমবার যাত্রা শুরু করেছে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর (জিপিএ)-এর ৫ম ব্যাচ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2018, 04:17 PM
Updated : 7 May 2018, 04:17 PM

জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর (জিপিএ)-এর এই ব্যাচকে চার মাসব্যাপী কর্মসূচিতে স্বাগত জানানো হয়। ২০১৫ সালে চালু হওয়া এই কর্মসূচির মাধ্যমে এই ব্যাচে আগে আরো ২১টি স্টার্টআপকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।  

গ্রামীণফোন সিইও মাইকেল ফোলি অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে অনেক তরুণ প্রতিভা আছে যাদের সাফল্য লাভের জন্য সামান্য সহযোগিতা দরকার। জিপি অ্যাকসেলেরেটর হচ্ছে সেই সহযোগিতা।”

জিপি অ্যাকসেলেরেটরের ৫ম ব্যাচের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-

সার্চ ইংলিশ: একটি ইরেজি ভাষা শিক্ষা প্লাটফর্ম। এটি সদস্যদের ফেইসবুক, ওয়েবসাইট এবং ওয়েবিনার-এর মাধ্যমে ইংরেজি ভীতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করছে।

সিওয়ার্ক মাইক্রোজব লিমিটেড: এটি একটি ক্রাউড সোর্সড মাইক্রো জব প্লাটফর্ম, এখানে নিয়োগকারীরা কন্ট্রিবিউটরদের জন্য কাজ দিয়ে থাকে।

অনুসার্ভার: এটি একটি অ্যাপ-ক্লাউড হাইব্রিড, যা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোনকে ক্ষুদ্র সার্ভারে পরিণত করে বিভিন্ন এসএমএস ও কলভিত্তিক সেবা প্রদানে সহায়তা করে। এই সেবা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সামান্য খরচে তাদের গ্রাহকসেবা ও বিপণন সেবা প্রদান করতে দেয়।

ডিজিটাল মানুষ: এটি একটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য লিড জেনারেটর ও মানুষকে সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যুক্ত করে।

পার্কিংকই: এটি গাড়ী চালকদের অব্যবহৃত পার্কিং খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং এর মাধ্যমে বাড়ীর মালিকরা তাদের অব্যবহৃত পার্কিং ভাড়া দিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন।

৫ম ব্যাচের জন্য জিপি অ্যাকসেলেরেটর দুই সপ্তাহে এক হাজারের বেশি আবেদন পেয়েছিল। একটি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে দুইদিনব্যাপী বুট ক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং এদের মধ্যে থেকে ১৫টি স্টার্টআপকে নির্বাচন করা হয়। ১৫টি দলের মুখোমুখি সাক্ষাৎকার ও পিচ প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার পর পাঁচটি স্টার্টআপকে জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৫ম ব্যাচের জন্য নির্বাচন করা হয়।

গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, “এই অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম খুব কম সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে কাঙ্খিত স্টার্টআপ মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে পরিণত হয়েছে।”

“আমি অপেক্ষায় আছি এটি দেখতে যে তারা এই প্রোগ্রাম শেষ করার পর কতটা সাফল্য অর্জন করে”, যোগ করেন তিনি।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর একটি প্লাটফর্ম যেখানে প্রতিটি ব্যাচের স্টার্টআপদের চার মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কারিকুলামভিত্তিক মেন্টরশিপ প্রদান করা হয়। নির্বাচিত প্রতিটি স্টার্টআপকে আট শতাংশ ইকুইটির বিপরীতে ১৫ হাজার ডলার সিড ফান্ড হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়াও, তারা  ১১,২০০ মার্কিন ডলার মূল্যের অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস (এডব্লিউএস) ক্রেডিট এবং চার মাসব্যাপী জিপি হাউজে কাজ করার জন্য বিশাল পেয়ে থাকে বলে গ্রামীণফোনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।