মার্কিনিদের ডেটা হস্তান্তরে বাধ্য হচ্ছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা

ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে মার্কিন এক অধ্যাপকের যত ব্যক্তিগত তথ্য আছে সব হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ডেটা প্রাইভেসি পর্যবেক্ষক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2018, 06:07 PM
Updated : 6 May 2018, 06:07 PM

ডেটা প্রাইভেসি প্রচারণাকর্মীরা বলছেন, এটি এমন নজির সৃষ্টি করবে যার মাধ্যমে লাখ লাখ মার্কিন ভোটার ডেটা সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তাদের ডেটা চাইতে পারবেন।

যুক্তরাজ্যের ইনফরমেরশন কমিশন’স অফিস কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মূল প্রতিষ্ঠান এসসিএল-এর কাছে এ নিয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে মার্কিন অধ্যাপক ডেভিড ক্যারোল-এর যত তথ্য রয়েছে সব সরবরাহ করতে বলা হয়। এটি করতে ব্যর্থ হওয়ার কথা বললে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হবে আর এজন্য 'সীমাহীন জরিমানা'র মুখে পড়তে হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছিল মার্কিন ডেটা বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। ২০১৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলেকজান্ডার কোগান-এর বানানো এক অ্যাপ থেকে সংগ্রহ করা ডেটা চলে গিয়েছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে। সেই ডেটা ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই ব্যবহার করা হয় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায়। চলতি বছর এ খবর প্রকাশ হলে চাপের মুখে পড়ে ফেইসবুক। মার্কিন কংগ্রেসের সামনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেন, তার নিজেরসহ ৮.৭ কোটি ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ডেটা বেহাত ও অপব্যবহারের শিকার হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনার এলিজাবেথ ডেনহ্যাম বলেন, “প্রতিষ্ঠানটি এই মামলায় সব সময় আমাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে আর বাদীর ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নির্দিষ্ট প্রশ্নগুলোর জবাব দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে।”

“কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা নিজের তথ্য চাওয়ার অধিকার ডেটা সুরক্ষা আইনের মূল ভিত্তি আর এটি গুরুত্বপূর্ণ যে অধ্যাপক ক্যারোল আর অন্যরা বোঝেন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে কী ব্যক্তিগত তথ্য আছে আর তারা কীভাবে তা বিশ্লেষণ করছে।”

যেহেতু কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান তাই ক্যারোল মার্কিন নাগরিক হলেও ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের কাছে তার সম্পর্কে থাকা ডেটা তিনি ব্রিটিশ ডেটা সুরক্ষার আইনে চাইতে পারেন, এই মামলা থেকে এমনটাই প্রমাণিত হচ্ছে।  

এ নিয়ে রোববার কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছ প্রতিবেদনে।